বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১
logo
  • হোম
  • সারাদেশ
  • আগৈলঝাড়ায় সেনাসদস্য স্বামীর প্রতারণার শিকার স্ত্রী ও সন্তান

আগৈলঝাড়ায় সেনাসদস্য স্বামীর প্রতারণার শিকার স্ত্রী ও সন্তান

আগৈলঝাড়ায় সেনাসদস্য স্বামীর প্রতারণার শিকার স্ত্রী ও সন্তান

আগৈলঝাড়া (বরিশাল), ০৯ অক্টোবর, এবিনিউজ : বরিশালের আগৈলঝাড়ায় স্ত্রী-সন্তানকে অস্বীকার করে ২য় বিয়ে করেছে এক প্রতারক সেনাসদস্য। সদ্যজাত সন্তানের পিতৃপরিচয়ের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছে ১ম স্ত্রী। পারিবারিকসূত্রে জানা গেছে, আগৈলঝাড়া উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের সরবাড়ি গ্রামের মৃত সনাতন চন্দ্র জয়ধরের মেয়ে মুক্তা জয়ধর (২৮) ঢাকায় একটি গার্মেন্টসে চাকুরীরত অবস্থায় পরিচয় হয় একই উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের ভালুকশী (ছোট ডুমুরিয়া) গ্রামের জীবন দে (জুরান)’র বড়ছেলে আশীষ দে’র সাথে। পরিচয়ের পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আশীষ বেকার থাকা অবস্থায় প্রেমিকা মুক্তার কাছ থেকে চাকরীর কথা বলে বিভিন্ন সময়ে প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেয়।

দীর্ঘদিন প্রেম করার পরে গত ১০বছর পূর্বে বিগত ২০০৮ সালের ১৭ জানুয়ারী তারা আদালতের মাধ্যমে কোর্ট ম্যারেজ করে এবং এর দু’দিন পরে ধামরাই শ্রীশ্রী যশোমাধব মন্দিরে বসে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে একসাথে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস শুরু করে। প্রতারণার শিকার মুক্তা জয়ধর সাংবাদিকদের জানান, বিবাহের কিছুদিন পরে আশীষ বিবাহের কথা গোপন রেখে ছোট ভাই গোবিন্দ’র সার্টিফিকেট দিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে সৈনিক পদে চট্টগ্রামে যোগদান করে। এ সময় আশীষ মাঝেমধ্যে ছুটিতে স্ত্রী মুক্তার কাছে আসা যাওয়া করত। এরই মধ্যে মুক্তা সন্তানসম্ভবা হলে স্বামী আশীষ তাকে বিভিন্নভাবে বুঝিয়ে সন্তান নষ্ট করে ফেলে। পরবর্তীতে আবারও মুক্তার গর্ভে সন্তান আসার খবর শুনলে আশীষ মুক্তা ও তার গর্ভের সন্তানকে অস্বীকার করে এবং স্ত্রী মুক্তার সাথে সমস্ত যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।

মুক্তা তাদের বিয়ের কথা আশীষের পরিবারকে জানালে তারা নানান তালবাহানা করে বিষয়টি এড়িয়ে যান। এরপর মুক্তা বাদী হয়ে বরিশাল আদালতে বিগত ২০১১ সালের ০৮ মার্চ আশীষের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করে। এরমধ্যে আশীষ ১ম স্ত্রী ও গর্ভজাত সন্তানের কথা গোপন করে উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের পতিহার গ্রামে গত ৮মাস পূর্বে ২য় বিয়ে করে। এ খবর জানতে পেরে স্ত্রী মুক্তা ও তার পরিবার প্রতারক সেনাসদস্য আশীষের এহেন কর্মকান্ডের সুষ্ঠু বিচার দাবি করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা, বাকাল ও রাজিহার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সরকারী কর্মকর্তা ও চেয়ারম্যানদ্বয় আশীষ ও তার পরিবারকে সমাধানের জন্য একাধিকবার নোটিশ দিলেও তারা বিষয়টি আমলে নেয়নি।

এদিকে গতকাল রোববার দুপুরে আশীষের প্রথম স্ত্রী মুক্তা এক ছেলে সন্তানের জন্ম দিয়েছে। সন্তান প্রসবের পর মুক্তা কান্নাজড়িত কন্ঠে জানান, একজন নারীর জীবনে সবচেয়ে বড় পরিচয় হলো তার স্বামী। আমি আমার সন্তানের পিতৃপরিচয়ের জন্য কার কাছে যাবো? আশীষ আমার ও সন্তানের সাথে এত বড় প্রতারণা করবে তা আমি কোনদিন ভাবিনি। আশীষ একজন প্রতারক। সে নিজের ছোটভাই গোবিন্দ দে’র সার্টিফিকেট দিয়ে সেনাবাহিনীতে চাকরী করছে। এতদিন আমার গর্ভের সন্তানের কথা চিন্তা করে কারও কাছে মুখ খুলিনি। আমি ওই প্রতারকের উচিৎ বিচার চাই। এ বিষয়ে জানার জন্য আশীষের ০১৭৭৩-৪১৩৬৯২ নম্বরে যোগাযোগ করা হলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায় বিধায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।

এবিএন/অপূর্ব লাল সরকার/জসিম/তোহা

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত