রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২
logo
  • হোম
  • সারাদেশ
  • আগৈলঝাড়ায় সরকারী অফিস ও আবাসনে পানি সরবরাহ বন্ধ: দূর্ভোগ চরমে

আগৈলঝাড়ায় সরকারী অফিস ও আবাসনে পানি সরবরাহ বন্ধ: দূর্ভোগ চরমে

আগৈলঝাড়ায় সরকারী অফিস ও আবাসনে পানি সরবরাহ বন্ধ: দূর্ভোগ চরমে

আগৈলঝাড়া (বরিশাল), ০৯ অক্টোবর, এবিনিউজ : বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার সরকারি অফিস ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসনে দেড়মাস ধরে পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। পানি সরবরাহ না থাকায় চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বসবাসকারীদের। দেড়মাস যাবৎ পাম্প বিকল হয়ে পানি সরবরাহ বন্ধ থাকলেও পাম্পটি সচল করতে কোনই পদক্ষেপ নিচ্ছেনা কর্তৃপক্ষ। ভুক্তভোগী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আগৈলঝাড়া উপজেলা পরিষদের উদ্যোগে উপজেলার সরকারি দপ্তর সমূহে, সরকারি কোয়ার্টার ও ডরমেটরি ভবনে পানি সরবরাহ করা হয়। গত আগস্ট মাসের শেষ সপ্তাহে হঠাৎ করে পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।

পানি সংকটে পরেন কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সরকারি কোয়ার্টারের বাসিন্দারা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, দীর্ঘদিন পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সরকারি অফিস ও কোয়ার্টারের বাসিন্দাদের। বিষয়টি একাধিকবার কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হলেও পাম্পটি মেরামত করে পানি সরবরাহের কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের একটি সূত্র জানায়, বেশ কিছুদিন আগে উপজেলা পরিষদের পানি সরবরাহের পাম্পটিতে পানি উঠা বন্ধ হয়ে যায়। পাম্প বিকল মনে করে একটি নতুন পাম্প কেনা হয়। তাতেও পানি না উঠায় বিষয়টি উপজেলা প্রকৌশলী ও উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীকে অবহিত করে এব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বলা হয়।

কিন্তু দুই দফতর কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। পরবর্তীতে নির্বাহী কার্যালয়ের উদ্যোগে পরীক্ষা করে দেখা গেছে পানি সরবরাহকারী গভীর নলকূপটির ফিল্টারে বালু জমে জাম্প হয়ে পাম্পটি বিকল হয়ে গেছে। যে কারণে পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে পানি সরবরাহের ব্যাপারে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. অসীম রঞ্জন হালদার, আব্দুর রব সেরনিয়াবাত ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কমলা রানী মন্ডলসহ কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, সরকারী কোয়ার্টারে প্রায় ৫০জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন। দীর্ঘদিন ধরে পানি সরবরাহ বন্ধ থাকায় তাদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

পানি না থাকায় বাসাবাড়ির শৌচাগারসহ আশপাশের পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে। পুরুষরা দূরে কোথাও পুকুর অথবা খালে গিয়ে গোসল ও কাপড়চোপড় ধোয়ার কাজ করলেও সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হয় নারী ও শিশুদের। উপজেলা সহকারী সমবায় অফিসার হ্যাপী আকতার বলেন, অনেক দূর থেকে খাবার পানি সংগ্রহ করি। কিন্তু বাসার তৈজসপত্র পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা কঠিন হয়ে পরেছে। কৃষি কর্মকর্তা রথীন্দ্র নাথ বাড়ৈ ও শিক্ষক পুলিন চন্দ্র বাড়ৈ বলেন, দেড়মাস ধরে পানি সরবরাহ বন্ধ থাকায় আমাদের বসবাস অযোগ্য হয়ে পরেছে। পানি সংকট ও বিল্ডিং-এর পলেস্তারা খসে পরার যন্ত্রণায় দুর্বিসহ জীবনযাপন করছি।

উপজেলা প্রকৌশলী রাজকুমার গাইন বলেন, পাম্প ওয়াশ করার জন্য একাধিক টিমের সঙ্গে কথা চলছে। খুব শীঘ্রই সমস্যার সমাধান করা হবে। এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কমকর্তা আশ্রাফ আহম্মেদ রাসেল বলেন, পাম্পটি বিকল হওয়ার পরে একাধিকবার সচল করতে উদ্যোগে নেয়া হয়েছে। এমন কি নতুন পাম্প কেনা হলেও সমস্যার সমাধান হচ্ছেনা। সর্বশেষ ওয়াশ করে সচল করতে না পারলে নতুন করে গভীর নলকূপ বসাতে হবে। এতে কিছুটা সময় লাগতে পারে। জরুরী ভিত্তিতে পানি সরবারহ করতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

এবিএন/অপূর্ব লাল সরকার/জসিম/তোহা

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত