![মেলান্দহ কাটাখালী ব্রিজ নাথাকায় জনদুর্ভোগ](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2017/10/19/jamalpur-bridge_106108.jpg)
জামালপুর, ১৯ অক্টোবর, এবিনিউজ : জামালপুরের মেলান্দহের পুঠিয়াপাড়া কাটাখালী নদীর উপর ব্রিজ নাথাকায় জনদুর্ভোগ চরমে। ব্রিজ নাথাকায় নাংলা-মাহমুদপুর-আদ্রা এবং মাদারগঞ্জের কড়ইচুড়া ৪টি ইউনিয়নের পুরারচর, নয়াপাড়া, খাসিমার, পুটিয়াপাড়া, নলছিয়া, নালডোবা, বন্দোরৌহা, আদ্রা, ইলশেমারী, মহিষবাথানসহ প্রায় ৩০টি গ্রামের প্রায় মানুষের কষ্টের অন্ত:নেই।
একমাত্র যোগাযোগের অব্যবস্থাপনার জন্য কৃষিপণ্য ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করা দু:সাধ্য। মুমূর্ষু রোগির এবং গবাদি পশুর চিকিৎসা দিতে ডাক্তার আসতে চান না। অনেক সময় কাঁধে করে রোগিদের ডাক্তারের কাছে নিতে হয়। স্কুলগামী শিক্ষার্থীদেরও ভোগান্তির অন্ত: নেই।
যমুনা নদীর শাখা মাদারদহের পানির তোড়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হতো। পাকিস্তান সরকার নদীর মাঝপথে বাঁধদিয়ে জমি ও ফসল রক্ষায় বাঁধ নির্মাণ করে। এতে ভাটি অঞ্চলের ফসল ও জমি রক্ষা হলেও; উজানের ফসল ও জমি তলিয়ে যায়। উজানের বিক্ষুব্ধ কৃষক-জনতা বাঁধটি কেটে দিলে পানির খর¯্রােতে নদীর সৃষ্টি হয়। বাঁধ কাটার জন্য মাদারদহের একাংশের নাম হয় কাটাখালি নদী।
কাটাখালির দু’টি অংশ। একটি বড় কাটাখালি অপরটি ছোট কাটাখালি। এলাকাবাসির অভিযোগ, কাটাখালি মাহমুদপুর এবং নাংলা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী হওয়ায় ব্রিজ নির্মাণ কিংবা উন্নয়নের প্রশ্নে রশিটানাটানি চলে আসছে। নির্বাচনে ভোটের রাজনীতির পাল্লাভারী করার জন্য উন্নয়নের অনেক প্রতিশ্রুতিই দেন নেতা-নেত্রীরা। নির্বাচনের পর কেও খোঁজ রাখে না। তৎকালীণ প্রেসিডেন্ট এরশাদের আমলে প্রয়াত মাহমুদপুর ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম মন্টু তালুকদার মাহমুদপুর বাজার থেকে কাটাখালি পর্যন্ত একটি রাস্তা নির্মাণ করলেও ব্রিজ নির্মাণের জন্য কেও আগ্রহী হন নাই, অভিযোগ এলাকাবাসির।
এ ব্যাপারে পাশের সীমান্তবর্তী নাংলা ইউপি চেয়ারম্যান মাহফুজুল হক মাফল জানান- কাটাখালি ব্রিজের অভাবে মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। মাননীয় পাট-বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী আলহাজ মির্জা আজম এমপি’র কাছে বারবার ধর্ণা দিয়েছি। ব্রিজ করে দেই দিচ্ছি বলে শান্তনা দিচ্ছেন। উপজেলা প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম তালুকদার জানান-জনদুর্ভোগ লাগবে কাটাখালিসহ আরো কিছু ব্রিজের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু হবে।
এবিএন/মো: শাহ্ জামাল/জসিম/নির্ঝর