বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১
logo

পাকুন্দিয়ায় কৃষকের কন্যা চান্স পেল মেডিকেলে

পাকুন্দিয়ায় কৃষকের কন্যা চান্স পেল মেডিকেলে

পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) , ১৯ অক্টোবর, এবিনিউজ : চরম দরিদ্রতা ও সকল প্রতিকূলতাকে জয় করে কৃষকের কন্যা রিমা আক্তার এ বছর রাঙামাটি মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েছে। দরিদ্র কৃষক আলাউদ্দিন ও গৃহিনী হালিমা খাতুনের সংসারে নিত্য অভাব অনটনের মধ্যে থেকেও অদম্য মেধা ও একাগ্রতায় এ বছর সে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় ৬৯.৫ স্কোর পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। উপজেলার এগারসিন্দুর ইউনিয়নের দক্ষিণ খামা গ্রামে দরিদ্র পরিবারে তার জন্ম। ৬ বোন ও ১ ভাইয়ের সংসারে সে তৃতীয়। তার বাবা আলাউদ্দিন স্থানীয় মঠখোলা বাজারে খোলা রাস্তায় সবজি বিক্রি করে ও পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত সামান্য জমিতে কৃষি কাজ করে তাদের ভরণপোষণ ও লেখাপড়ার খরচ চালাতে প্রতিনিয়ত হিমশিম খায়। ধার দেনা ও অক্লান্ত পরিশ্রমে ছেলেমেয়েদেরকে পড়াশুনা করাচ্ছেন। জীবন সংগ্রামের টানাপোড়নের মধ্যেও অদম্য মেধাবী রিমা ৫ম ও ৮ম শ্রেণিতে বৃত্তি লাভ করে। আসিয়া বারী আদর্শ বিদ্যালয় থেকে ২০১৪ সালে জিপিএ ৫ ও ২০১৬ সালে হাজী জাফর আলী কলেজ, মঠখোলা থেকে জিপিএ ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়। হাজী জাফর আলী কলেজের উপাধ্যক্ষ আঃ হেলিম জানান, “মেয়েটি ভীষণ পড়–য়া ও নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত থাকত। অসচ্ছল পরিবারে জন্ম হলেও মেয়েটির ঈর্ষাণীয় মেধাকে সবসময় আমরা উৎসাহিত করতাম।” অর্থাভাবে চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন পূরণ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন মেধাবী রিমার পরিবার। রিমার মা হালিমা খাতুন বলেন, বড় পরিবারে কৃষি কাজ করে সংসার চালানোই দায় হয়ে পড়েছে। তারপর ছেলে মেয়েদের লেখাপড়ার খরচ চালাতে গিয়ে শঙ্কায় রয়েছি রিমার ভর্তি ও খরচ নিয়ে। আপনারা এগিয়ে এলে, সহযোগিতা করলে মেয়েটি ডাক্তার হয়ে স্বপ্ন পূরণ করতে পারবে।” একাগ্রতা ও সাধনায় সকল সাফল্য দোয়ারে পৌছানো সম্ভব। রিমার কাছে জানতে চাইলে সে জানায়, সকলের সহযোগিতা পেয়ে চিকিৎসক হতে পারলে সমাজের হত দরিদ্র অসহায় মানুষের বিনা মূল্যে চিকিৎসা করবে। সে আরো জানায় যে, তার সাফল্যের পিছনে পিতামাতা ও শিক্ষক মন্ডলীর ঋণ কখনো শোধ করতে পারবে না। সে তার স্বপ্ন পূরণের সকলের সহযোগিতা দোয়া কামনা করছে।

এবিএন/ শরীফ আহম্মেদ/জসিম/নির্ঝর

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত