শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১
logo
  • হোম
  • সারাদেশ
  • জোয়ারের পানি ও প্রবল বর্ষণে চিতলমারীতে নিম্মাঞ্চল প্লাবিত
সবজির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, তলিয়ে গেছে কয়েকশ’ চিংড়ি ঘের

জোয়ারের পানি ও প্রবল বর্ষণে চিতলমারীতে নিম্মাঞ্চল প্লাবিত

জোয়ারের পানি ও প্রবল বর্ষণে চিতলমারীতে নিম্মাঞ্চল প্লাবিত

বাগেরহাট, ২২ অক্টোবর, এবিনিউজ : অমাবশ্যার জোয়ারের পানি ও গত ৩ দিনের প্রবল বর্ষণে বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের নিম্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। জোয়ারের প্রভাবে বৃষ্টির পানি খালে বের হতে না পারায় তলিয়ে গেছে কয়েকশ’ চিংড়ি ও সাদা মাছের ঘেরের পাড়। সেই সাথে টমেটোসহ সবজির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে দেনারদায়ে সব হারানো কৃষক চোখে ‘সরষের ফুল’ দেখছেন।জোয়ারের পানি ও প্রবল বর্ষণে চিতলমারীতে নিম্মাঞ্চল প্লাবিত

রোববার সকালে এমনটাই জানালেন এ উপজেলার চিংড়ি ও সবজি চাষিরা। উপজেলার সদর ইউনিয়নের শ্রীরামপুরের চিংড়ি চাষি শেখর ভক্ত, পারডুমুরিয়ার বিপ্লব বাড়ই, রায়গ্রামের মুকুল রায়, তাপস বাড়ই, সুড়িগাতির অসিম মৃধা, সুরশাইলের মুন্না শেখ, কুরমনি গ্রামের রেজাউল খান, দেবাশিষ বিশ্বাস, চরবানিয়ারী ইউনিয়নের খড়মখালী গ্রামের পরিমল মজুমদার, অসিম বিশ্বাস, মুক্তিযোদ্ধা মনি মোহন হীরা ও খলিশাখালীর মিন্টু বিশ্বাস জানান, অমাবশ্যার জোয়ারের প্রভাবে নদী ও খালে অস্বাভাবিক হারে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সাথে গত ৩ দিনের প্রবল বর্ষণে বিলের পানি খালে বের হতে না পারায় তলিয়ে গেছে কয়েকশ’ চিংড়ি ও সাদা মাছের ঘেরের পাড়। এতে ঘের হয়ে মাছ বেরিয়ে চাষিদের চরম ক্ষতি হয়েছে। অপরদিকে ঘেরের পাড় তলিয়ে যাওয়ায় ও বৃষ্টিতে টমেটোসহ সবজির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে দেনারদায়ে সব হারানো কৃষকরা চরম বিপাকে পড়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে তারা এখন চোখে ‘সরষের ফুল’ দেখছেন। কারণ এ প্রাকৃতিক বিপর্যয় তাদের অর্থনৈতিক মেরুদন্ড একেবারে ভেঙ্গে দিয়েছে।

চিতলমরারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আবুল হাসান জানান, এ বছর এ উপজোয় প্রায় দেড় হাজার একর জমিতে টমেটো ও অন্যান্য সবজি চাষ হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে আংশিক ক্ষতি ধারণা করা হলেও কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে সঠিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নিরুপন করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।

এ ব্যাপারে চিতলমারী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কর্মকর্তা বিপুল কৃষ্ণ মন্ডল জানান, এ উপজেলায় প্রায় ১১ হাজার গলদা ও বাগদা চিংড়ি এবং সাদা মাছের ঘের রয়েছে। জোয়ারের পানি ও প্রবল বর্ষণে নিম্মাঞ্চলের কিছু মাছের ঘেরের পাড় তলিয়ে গেলেও তেমন বড় ধরণের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে তিনি উল্লেখ করেন।

তবে চিতলমারী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সোহাগ ঘোষ জানান, কোন ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কেউ ক্ষয়ক্ষতির কথা কিছুই জানায়নি।

এবিএন/ এস এস সাগর/জসিম/নির্ঝর

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত