বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১
logo
  • হোম
  • সারাদেশ
  • মনু নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের ২ টি স্থানে বিশাল ভাংগন, ৩০ গ্রাম প্লাবিত

মনু নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের ২ টি স্থানে বিশাল ভাংগন, ৩০ গ্রাম প্লাবিত

মনু নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের ২ টি স্থানে বিশাল ভাংগন, ৩০ গ্রাম প্লাবিত

কুলাউড়া (মৌলভীবাজার), ২২ অক্টোবর, এবিনিউজ : গত ৩ দিনের টানা বৃষ্টিপাত এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে মনু নদী প্রতিরক্ষা বাঁধের ২টি স্থানে বিশাল আকারে ভাঙন দেখা দেওয়ায় কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর ও টিলাগাও ইউনিয়নে ৩০ টি গ্রাম বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। শরীফপুরের চাতলাসেতু সংলগ্ন মনু নদীর ৩শ ৫০ ফুটের বিশাল ভাংগন এবং টিলাগাওয়ের আশ্রয়গ্রামের মনু নদীর ১শ ফুট ভাগনের ফলে ২ শতাধিক কাঁচাঘরবাড়ি বিধস্থ হয়েছে এবং ২ সহ¯্রাধিক মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছেন। তাৎক্ষনিকভাবে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৩শ পরিবারকে শুকনো খাবার বিতরন করা হয়েছে এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে ভাংগন এলাকায় বালুর বস্তা ও ইট দিয়ে ভাংগন রোধের চেষ্টা করা হচ্ছে।

এদিকে, ভাঙ্গনের খবর পেয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী বাঁধ রক্ষার জন্য সেচ্ছাশ্রম কাজ করছে। অপরদিকে পানীর স্রোতে শতাধিক কাঁচা ঘর বিধস্থ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ভাঙ্গনের খবর পেয়ে কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার চৌধুরী গোলাম রাব্বিসহ প্রশাসনের লোকজন ভাংগন এলাকা পরিদর্শন করেছেন।

জানা যায়, অনবরত বৃষ্টির কারনে ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে মনু নদীর পানি মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধি পেয়ে উঠে গতকাল রোববার (২২ অক্টোবর) ভোর ৫টায় টিলাগাও ইউনিয়নে আশ্রয় গ্রামে এবং সকালে শরীফপুর ইউনিয়নের চাতলা ব্রীজ সংলগ্ন সাড়ে ৩ শ ফুট এলাকা জুড়ে ভাঙনের সৃষ্টি হয়। এতে ২৩ টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে ২ সহ¯্রাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে বিভিন্ন ভাবে।

আশ্রয় গ্রামের মনির মিয়া, বাবুল আহমদ, সুমন, কবির, সামাদ জানান, ভোর সকাল ৫ টায় এলাকায় মনু নদীর বাঁধ এলাকা দিয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ শুরু করে। প্রায় ১০০ ফুট এলাকা জুড়ে সৃষ্ট ভাঙনের ফলে উপজেলার টিলাগাও ইউনিয়নের আশ্রয়গ্রাম, বালিয়া, ইসবপুর, চানপুর সহ আরো অনেক গ্রাম বর্তমানে বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। গ্রায় ১০০ টি কাচা ঘর সহ অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হয় এলাকাবাসী।

কুলাউড়া উপজেলার টিলাগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল মালিক জানান, ইউনিয়নের আশ্রয় গ্রাম এলাকায় মনু নদীর বাঁধ ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। শত শত মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করেও পারেনি মনু নদীর বাধঁ ভাঙন রক্ষা করতে। এখন পর্যন্ত প্রায় ২০ টি গ্রাম বন্যায় কবলিত হয়েছে। আরো অসংখ গ্রাম প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

শরীফপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জুনাব আলী জানান, চাতলা সেতুর পাশেই মনুর প্রতিরক্ষা বাধের সাড়ে ৩ ফুট ভাংগন দেখা দিয়েছে। ফলে কয়েকশ মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছেন। এবং চাতলাসেতুটিও ঝুকিপূর্ন অবস্থায় রয়েছে। তার ইউনিয়নের ৫০ টি কাচা ঘর বিধস্থ হয়েছে তিনি জানান।

কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার চৌধুরী গোলাম রাব্বি জানান, ভাংগনকৃত এলাকাগুলি পরিদর্শন শেষে তাৎক্ষনিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ ৩ শ মানুষের মধ্যে শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে এবং পর্যাপ্ত ত্রানের জন্য উধর্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জরুরীভিত্তিতে ত্রানের চাহিদা পাঠানো হয়েছে।

এবিএন/ময়নুল হক পবন/জসিম/রাজ্জাক

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত