![ঝালকাঠি সওজ নির্বাহী প্রকৌশলীর নির্দেশনা উপেক্ষা করছে কর্মচারি](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2017/10/28/rods_107642.jpg)
ঝালকাঠি, ২৮ অক্টোবর, এবিনিউজ : ঝালকাঠি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর নির্দেশনা উপেক্ষ করছে এ বিভাগের এক ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারী ও তার ভাইয়েরা। ঝালকাঠি-বরিশাল আঞ্চলিক সড়কের প্রস্ততা বৃদ্ধির জন্য রাস্তার পার্শবর্তী মগড় ইউনিয়নের ভূমি অফিসের পশ্চিম পাশে সরকারি অধিগ্রহনকৃত জমিতে এতোদিন অনেকেই দোকান দিয়ে ব্যবসা করে আসলেও নির্বাহী প্রকৌশলীর নির্দেশনা মেনে সবাই তাদের অবকাঠামো সরিয়ে নিলেও এই সওজ বিভাগের কর্মচারী সোহরাব হোসেন ও তার ভাইদের ভাড়া দেয়া দোকানগুলো অনড় রয়েছে। তাই তাদের এ বেপরোয়া আচরনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য লিখিত আবেদন জানিয়েছে।
এলাকাবাসির দেয়া অভিযোগে জানানো হয়, ঝালকাঠি-বরিশাল আঞ্চলিক সড়কের সংলগ্ন ক্রমিক নং ১৭ এসএ দাগ নং ৬৩৭ জমির মোট ৪৬ শতাংশ সম্পত্তির মধ্যে এলএ ৭/৭৭ নং কেসের মাধ্যমে ২০ শতক জমি সড়ক বিভাগ অধিগ্রহন করে। উক্ত জমিতে ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারী সওজ বিভাগের কর্মচারী সোহরাব হোসেন, তার কয়েক ভাইরা ৪/৫টি সহ অন্য আরো ১০/১২ জন বাসিন্দা ঘর তুলে নিজেরা দোকান ও অনেকে দোকান ভাড়া দেয়। মগড় ইউনিয়নের সুজাবাদ গ্রামের সৈয়দ আলী হাওলাদারের ছেলে সড়ক জনপথ বিভাগে কর্মরত সোহরাব হোসেন হাওলাদার।
সম্প্রতি সড়কের প্রস্ততা বৃদ্ধির জন্য ২নং মগড় ইউনিয়নের ভূমি অফিসের পশ্চিম পাশের অধিগ্রহনকৃত জমিতে গড়ে তোলা দোকান ঘর সরিয়ে নিতে নোটিশ ও মাইকিং করেন। সড়ক বিভাগের এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে সকল মালিক তাদের দোকান সরিয়ে নিলেও সওজ কর্মচারী সোহরাব ও তার ভাইয়ের ভাড়া দেয়া ৪/৫ টি অবৈধ দোকান অনড় রাখেন। আর এতে অপসারন করে নেয়া দোকান মালিকদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, সড়ক বিভাগের কর্মকর্তারা কালিজিরা ব্রীজের পশ্চিম দিকের দু’পাশ দিয়ে অধিকাংশ দোকান ভেঙ্গে ফেলে বা মালিকরা সরিয়ে নেয়। কিন্তু রহস্য জনক কারনে এই কর্মচারী ও তার ভাইয়ের ভাড়া দেয়া ৪/৫ টি অবৈধ দোকান এখন পর্যন্ত এখানেই রেখে দেয়া হয়েছে। তাই দোকান ভেঙ্গে ফেলা বা সরিয়ে নেয় মালিকরা ক্ষিপ্ত হয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী ছাড়াও জেলা প্রশাসক, নলছিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে ঝালকাঠি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকে একাধিকবার ফোন দিয়ে না পাওয়ায় উপ-প্রকৌশলী মো. নাবিল আহমেদের সাথে আলাপ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি যাচাই করে দেখছি যদি অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায় অবশ্যই ব্যবস্থা নিব।
আর এ বিষয়ে অভিযুক্ত সোহরাব হোসেনের ব্যবহৃত সেলফোনে একাধিক বার কল ও এসএমএস দিয়ে কথা বলতে চাইলেও তিনি ফোন ধরেননি। এমন কি কল দেয়ার এক পর্যায়ে রিসিভ করা হলেও অপরপ্রান্ত থেকে কোন পুরুষ কন্ঠ সে বাড়িতে নেই বলে জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
এবিএন/আজমীর হোসেন তালুকদার/জসিম/নির্ঝর