বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১
logo
  • হোম
  • সারাদেশ
  • কুলাউড়া ও জুড়ীতে কমলা চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের

কুলাউড়া ও জুড়ীতে কমলা চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের

কুলাউড়া ও জুড়ীতে কমলা চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের

কুলাউড়া (মৌলভীবাজার), ২৮ অক্টোবর, এবিনিউজ : মৌলভীবাজারের কুলাউড়া ও জুড়ী উপজেলার ছোট-বড় কমলা বাগান গুলোতে কমলা পাকা শুরু করেছে। ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে এবার বাগানে কমলার ফলন কম হলেও এবারের কমলা আকারে বড় এবং কমলার দামও ভাল বলে কৃষকরা খুবই আনন্দিত।

কমলা একটি ছায়া পছন্দকারী বৃক্ষ। ফলদ বৃক্ষের ছায়ায় কমলা চাষাবাদ ভাল হয়। বসতবাড়ির উত্তর ও পূর্ব পাশে এর চাষাবাদ ভালো হয়--এমনটাই মনে করেন কৃষক ও উপজেলা কৃষি অফিস। কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের মনছড়া, কালিটি, রাংগিছড়া পাহাড়ে এবং জুড়ী উপজেলার গোয়ালবাড়ি ইউনিয়েনের লালছড়া, শুকনাছড়া, ডুমাবারই, লাঠিটিলা, লাঠিছড়া, হায়াছড়া, কচুরগুল, সাগরনাল ইউনিয়নের পুটিছড়া ও পূর্বজুড়ী ইউনিয়নের কালাছড়া এবং জায়ফরনগর ইউনিয়নের বাহাদুরপুরসহ অন্যান্য গ্রামের টিলাবাড়িগুলোতে কমলা, বাতামি লেবু, আদালেবু, শাসনি ও জাড়া লেবুর বাগান রয়েছে।

আর এ বাগানগুলোতে পেশা হিসেবে সর্বদা পরিচর্যা করা ওই গ্রামগুলোর মানুষের নেশায় রুপান্তরিত হয়েছে। কমলা চাষে খরচও কম, শ্রমও কম লাগে এমনটাই জানিয়েছেন অত্র বাগানগুলোর কৃষকরা। ফলে কমলা চাষে অত্রাঞ্চলের কৃষকরা আগ্রহী হওয়ার পাশাপাশি সাবলম্বিও হচ্ছেন।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, জুড়ী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ৯১ হেক্টর জমিতে ৮৪টি কমলা বাগান রয়েছে। তন্মধ্যে গোয়ালবাড়ি শতকরা ৮০ভাগ এবং বাকি ২০ ভাগ বাগান অন্যান্য ইউনিয়নে রয়েছে। অত্রাঞ্চলের অধিকাংশ কমলা খাসী জাতের চাষাবাদ হচ্ছে। ওই বাগান গুলো থেকে চলতি মৌসুমে ৪৫০মেট্রিকটন কমলা লেবুর ফলন প্রাপ্তির প্রত্যাশা রয়েছে।

লালছড়া গ্রামের কমলা চাষি মোরশেদ মিয়া (৪৫) বলেন, কমলা এক বছর ফলন বেশি হলে অন্য বছর কম হয়। প্রাকৃতির নিয়ম অনুযায়ী এবারে ফলন কম। আল্লাহর রহমতে যা হয়েছে তাতেই আমরা সন্তুষ্ট। তিনি আরও বলেন, এবারে কমলার বাজার মূল্য গত বছরের চেয়ে বেশি, আকারও বড় হয়েছে। তিনি এবারে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকার কমলা বিক্রি করার প্রত্যাশা জানান।

সীমান্তবর্তি ডুমাবারই গ্রামের বয়:বৃদ্ধ আব্দুন নূর (৮১), বাবুল মিয়া (৬০) জানান, অতিবৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি, ঘুর্নিঝড় ও খরায় কমলা লেবুর ফুল থেকে শুরু হয়ে ফল পাকা পর্যন্ত প্রতিবছরই নষ্ট হয়। আর এবারে বৃষ্টি তুলনামুলক বেশি হওয়ায় অন্যান্য বছরের চেয়ে ফলন কম হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দেবল সরকার জনান, কমলা একটি ছায়া পছন্দকারী বৃক্ষ । শুধু একক বাগান হলে সান বার্ন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কৃষকরা যদি সঠিকভাবে সুষম সার ব্যবহার করে এবং পোকা-মাকড় ও রোগ বালাই দমনের জন্য নিয়মিত বালাই নাশক স্প্রে ব্যবহার করে, তাহলে ফলন ভালো হওয়ার পাশাপাশি আকারও বড় হবে। এছাড়াও অত্রাঞ্চলের কৃষকরা মাল্টা, আদা, জাড়া ও বাতামি লেবু ফলনে আগ্রহ দেখাচ্ছে।

কুলাউড়া উপসহকারী উদ্যান কর্মকর্তা সাইদুর রহমান জানান, কুলাউড়ায় কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কমলাসহ মিশ্রজাতের দেড়শ ফলজ বাগান করে দেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যে। ফলজ বাগান করতে মানুষের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে। অনেকে কমলাসহ ফলজ বাগান করে সফলতার মুখ দেখেছেন।

এবিএন/ময়নুল হক পবন/জসিম/রাজ্জাক

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত