![জলবায়ু অর্থায়নে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে লক্ষ্মীপুরে মানববন্ধন](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2017/10/30/jolobayou_108028.jpg)
লক্ষ্মীপুর , ৩০ অক্টোবর, এবিনিউজ :ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) জলবায়ু তহবিল প্রদান, অভিগম্যতা, তার ব্যবহার এবং এর তদারকিতে সমতা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, সংগতি, জনঅংশগ্রহণ এবং শুদ্ধাচার চর্চা নিশ্চিত করতে আজ সনাক, লক্ষ্মীপুর, টিআইবি এর উদ্যোগে প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনের আয়োজন করে।মানববন্ধনে জানানো হয় জার্মানির বন শহরে দ্বীপরাষ্ট্র ফিজি’র সভাপতিত্বে ২৩তম জলবায়ু সম্মেলন (কপ২৩) অনুষ্ঠিত হবে। প্যারিস চুক্তির আলোকে প্রতিশ্রুত জলবায়ু অর্থায়নের সুনির্দিষ্ট, বাস্তবভিত্তিক, সুনির্দিষ্ট রুপরেখা প্রস্তুত এবং সুশাসন নিশ্চিত করা এ সম্মেলনের প্রধান লক্ষ্য বলে জানানো হয় এ মানববন্ধনে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সনাকের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আবুল মোবারক ভূঁইয়া, সনাক সদস্য রনজিৎ কুমার পাল, কার্র্ত্তিক রঞ্জন সেনগুপ্ত, গাজী গিয়াস উদ্দিন, স্বজন সদস্য মাসুদুর রহমান খান ভুট্টু, বিভিন্ন এনজিও প্রতিনিধি, সাংবাদিক, ইয়েস ও ইয়েস ফ্রেন্ডস সদস্যবৃন্দ।
সবুজ জলবায়ু তহবিল (জিসিএফ) থেকে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে, বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহ যেমন বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ এর জন্য আনুমানিক ২৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রয়োজন হলেও তার বিপরীতে মাত্র ২.৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। জিসিএফ বোর্ড কর্তৃক ২০১৫ সালে বাংলাদেশে জলবায়ু-সহিষ্ণু অবকাঠামো মেইনষ্ট্রিমিং (সিআরআইএম) প্রকল্প সহ এ পর্যন্ত ৪৩টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত কোনো প্রকল্পের তহবিল ছাড় করেনি। অন্যদিকে অপ্রত্যাশিত এ বিলম্বের কারণে প্রকল্পের উপকার প্রত্যাশি ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বিলম্বের কারণ সম্পর্কে কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্য সংশ্লিষ্ট অংশীজনের নিকট থেকে পাওয়া যাচ্ছেনা। বৈশি^ক চাহিদা অনুযায়ী প্যারিস চুক্তিতে জলবায়ু তহবিল ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা নিশ্চিতের বিষয়টি আইনী বাধ্যতামূলক না হয়ে ঐচ্ছিক হওয়ায় ঝুঁকিতে থাকা স্বল্পোন্নত দেশসমূহের জন্য অনুদান ভিত্তিক অর্থায়ন পাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
এ প্রেক্ষিতে, টিআইবি স্বল্পোন্নত দেশসমূহের প্রভাবশালী সদস্য হিসেবে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল সহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনের বিবেচনার জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কিছু প্রস্তাব উত্থাপন করছে। জাতীয় পর্যায়ে প্রস্তাব সমূহ- নাগরিক সমাজ ও বিশেষজ্ঞসহ সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে অন্তর্ভুক্ত করে জাতীয় পর্যায়ে ধারাবাহিক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা, এলাকা-ভিত্তিক জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব যাচাই ও সে অনুযায়ী ২০৩০ পর্যন্ত অর্থায়নের রূপরেখা প্রণয়ন, বিসিসিটিএফ এবং বিসিসিআরএফ এ উন্নয়ন সহযোগী দেশসমূহের প্রয়োজনীয় তহবিল বরাদ্দ, জিসিএফ হতে সরাসরি তহবিল সংগ্রহে সম্ভাব্য জাতীয় বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান (এনআইই) কে জিসিএফ নির্ধারিত মানদন্ড অর্জনের মাধ্যমে সরাসরি তহবিলে সংগ্রহের ব্যবস্থা, ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠী কর্তৃক প্রকল্প প্রণয়ন, বাস্তবায়ন তদারকি এবং কার্যকরভাবে সহজে অভিযোগ প্রদান এবং তার সুরাহার সুযোগ নিশ্চিত হয়, প্রকল্প গ্রহণ এবং বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে নাগরিক সমাজের সাথে সমন্বিতভাবে সামাজিক জবাবদিহিতা সংক্রান্ত টুলস (যেমন, স্বপ্রণোদিত তথ্য প্রকাশ সহ তথ্য অধিকার আইনের কার্যকর প্রয়োগ, গণশুনানি, সিটিজেন চার্টার প্রণয়ন, সামাজিক অডিট ইত্যাদি) প্রয়োগ করা প্রভৃতি।
এবিএন/অ আ আবীর আকাশ/জসিম/নির্ঝর