![কুয়াকাটা মহাসড়ক এখন মরন ফাঁদ: দ্রুত সংস্কারের দাবি](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2017/10/30/kuakata-road_108041.jpg)
কলাপাড়া (পটুয়াখালী) , ৩০ অক্টোবর, এবিনিউজ : কুয়াকাটা-কলাপাড়া মহাসড়কের ১১ কিলোমিটার পথ এখন মরন ফাঁদে পরিনত হয়েছে। সড়কটির যতদূর চোখ যায় শুধু গর্ত আর গর্ত একারনে পর্যটকসহ স্থানীয়রা পরছে প্রায়ই সড়ক দুর্ঘটনায়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পাখিমারা থেকে মৎস্য বন্দর মহিপুর পর্যন্ত সড়কটির বিভিন্ন স্থানের কার্পেটিং উঠে সৃষ্টি হয়েছে ১ থেকে দেড় ফুট গভীরতার অগনিত গর্ত। কুয়াকাটায় ভ্রমনে আসা একাধিক পর্যটক জানান, বাস, মিনিবাস, মাইক্রবাস, প্রাইভেট কার এমনকি মোটরসাইকেল চালিয়েও কুয়াকাটায় বেড়াতে যাওয়া এখন খুবই ঝুঁকিপূর্ন। ঘন ঘন গর্তের কারনে চালকদের কাছে যানবাহন নিয়ন্ত্রন করা খুবই কষ্টকর তাই প্রায়ই ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা। রয়েছে প্রান নাশী বড় ধরনের র্দুঘটনার আশংকা। সামান্য বৃষ্টিতে গর্তগুলো পানিতে ডুবে হয়ে ওঠে আরও বিপজ্জনক।
কুয়াকাটার হোটেল মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি মো. শফিকুর রহমান সান জানান, পর্যটন মৌসুম শুরুতে ১১ কি:মি:ভাঙা রাস্তার কারনে এখন বর্ষ মৌসুমের চেয়েও দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আগম অনেকটা কমে গেছে। কুয়াকাটায় সব চেয়ে বেশি লোক সমাগম হয় রাস পূর্নিমার মেলায়। প্রতি বছর এ উৎসবের আগেই আমাদের হোটেলগুলো অগ্রিম বুকিং হয়ে যায়। ভাঙা সড়কে যাতায়াতের ঝুঁকির কারনে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর পর্যটকদের সাড়া কম পাচ্ছি। ভাঙা অংশগুলো দ্রুত সংস্কার না হলে এবছর বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়তে হবে সব হোটেলগুলোকে। আমরা সরকারের কাছে দ্রুত সংস্কারের দাবি জানাই।
সড়ক ও জনপদ সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ থেকে ২০১৪ অর্থ বছরে সড়কটির উন্নয়ন কাজ করে দি রূপসা ইঞ্জিনিয়ার্স লি: নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। তখন ওই কাজ মানসম্মত না হওয়ায় ঠিকাদারের বিল আটকে দেয় সওজ কর্তৃপক্ষ। বিল আটকে দেয়ায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি মো. রাশেদুল ইসলাম পটুয়াখালী দেওয়ানী আদালতে ২০১৪ সালে একটি এবং ২০১৫ সালে দু’টি মামলা দায়ের করেন। মামলার কারনে বিজ্ঞ আদালত পাখিমারা থেকে মহিপুর অংশের ১১ কি:মি: সড়কের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। ফলে গত তিন বছর ধরে ওই অংশটি সংস্কার হচ্ছে না।
সওজ বিভাগের পটুয়াখালীর নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দিন বলেন, এর পর জনস্বার্থে সওজ’র উদ্যোগে কোন মতে মহাসড়কটি সচল রাখা হচ্ছে। আদালতের নিষেধাজ্ঞার কারনে পুর্নাঙ্গভাবে টেন্ডারের মাধ্যমে মেরামত করা সম্ভব হচ্ছে না। নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলে কিংবা মামলাটি নিষ্পত্তি হলে তিন মাসের মধ্যে কাজটি করা সম্ভব।
এবিএন/তুষার হালদার/জসিম/নির্ঝর