বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১
logo
  • হোম
  • সারাদেশ
  • রাজবাড়ীতে হত্যার ১১ দিন পর শ্বশুরের লাশ উদ্ধার

রাজবাড়ীতে হত্যার ১১ দিন পর শ্বশুরের লাশ উদ্ধার

রাজবাড়ীতে হত্যার ১১ দিন পর শ্বশুরের লাশ উদ্ধার

রাজবাড়ী, ৩০ অক্টোবর, এবিনিউজ : রাজবাড়ী সদর উপজেলার বসন্তপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামে জামাই হত্যার ১১ দিন পরে জঙ্গল থেকে শ্বশুর সোবাহান মোল্লার (৫৫) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

গতকাল রবিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে জঙ্গলের একটি গাছে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

সোবাহান মোল্লার বড় ভাই মনিরদ্দিন মোল্লা বলেন, মেয়ে রুবি বেগমের স্বামী কলা ব্যবসায়ী জিল্লুর রহমানের (৩৭) বাড়ি ও সোবাহানের বাড়ি পাশাপাশি। গত ১৮ অক্টোবর দিবাগত রাতে বাড়ির পাশে একটি খেতের মধ্যে জিল্লুকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।

এ ঘটনায় জিল্লুর বাবা শেখ মো. জয়নাল আবেদীন বাদী হয়ে রাজবাড়ী সদর থানায় অজ্ঞাতব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর সন্দেহজনকভাবে জিল্লুর আপন ভগ্নিপতি হিরুকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেয় পুলিশ। হিরু এখনো পুলিশি হেফাজতেই রয়েছে।

গতকাল রবিবার সকালে জিল্লুর হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে সোবাহানের থানায় যাবার কথা ছিলো। সকাল ৯টার দিকে গোসল করতে বের হয়ে আর ঘরে ফেরেনি সোবাহান। সারাদিন বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। রাত ৯ টার দিকে স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ ৩০/৪০ জন লোক বাড়ির পাশের একটি নির্জন জঙ্গলের গাছের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ দেখতে পান। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।

তিনি আরও বলেন, সোবাহানের মেয়ে রুবির ঘরে চারটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। জামাই হত্যাকাণ্ডের পর মেয়ে ও নাতনীদের নিয়ে অনেক দুশ্চিন্তায় ছিলেন সোবাহান। এছাড়া গত একমাস আগে এনজিও থেকে মোটা অংকের টাকা লোন নিয়ে ছেলেকে সৌদি -আরব পাঠিয়েছেন। কিন্তু সেখানে গিয়ে এখনো ভালো কাজ পায়নি ছেলে। এসব মিলিয়ে মানসিক দুশ্চিন্তার কারণেও সোবাহান আত্মহত্যা করতে পারে বলেও ধারণা করা যাচ্ছে।

জিল্লু হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রাজবাড়ী সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রঞ্জন কুমার বিশ্বাস বলেন, জিল্লুকে হত্যার পর তার আপন ভগ্নিপতি হিরুকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে দুই দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে জিল্লু হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য দিয়েছেন তিনি, যার ফলে মামলার তদন্তকাজ অনেকটা এগিয়েছে। রিমান্ড শেষে রোববার আদালতে মামলার তদন্ত অগ্রগতির প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দিনই জঙ্গল থেকে জিল্লুরের শ্বশুর সোবাহানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে সোবাহান আত্মহত্যা করেছেন। মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ ব্যাপারে থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।

এবিএন/খন্দকার রবিউল ইসলাম/জসিম/এমসি

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত