![গর্ভবতী নারী চিকিৎসককে হামলা-মারধর](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2017/10/30/doctor_abnews_108093.jpg)
ঝালকাঠি, ৩০ অক্টোবর, এবিনিউজ : ঝালকাঠি শহরে স্বামীর পরিবারের হামলা-মারধরে গর্ভবতী চিকিৎসক তানজিনা আফরোজ তমা ও তার স্বামী চিকিৎসক মোঃ মেহেদী হাসান গুরুতর আহত হয়েছে। এ সময় পুলিশ পাহারায় চিকিৎসক দম্পতিকে উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসার নেয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাৎক্ষনিক ভাবে গর্ভবতী চিকিৎসক তানজিনা আফরোজ তমাকে বরিশাল শেরে বাংলা হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।এদিকে চিকিৎসক দম্পতির উপর এ হামলা-মারধরের ঘটনায় ঝালকাঠি সদর উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ইসরাত জাহান সোনালী ঘটনাস্থলে এসে হামলাকারী বোন লাকী-সুখীর পক্ষ নিয়ে মারমুখী ভূমিকা নিয়েছে বলেও আহতদের পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠেছে।
চিকিৎসক মেহেদী হাসান জানান, তিন দিন পুর্বে তার বাবা অবসরপ্রাপ্ত (জীবন বীমা কর্পোরেশন) জাহাঙ্গীর কবির মারা যান। এরপর খবর পেয়ে তার চিকিৎসক স্ত্রী’কে নিয়ে ঝালকাঠি শহরের সরকারি মহিলা কলেজের সামনে নিজ বাড়ীতে আসে। গত ২৯ শনিবার বাবার নামে মিলাদ-দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। পরে লোকজন বিদায় হওয়ার পর নিজেদের মাঝে কথা কাটাকাটি হলে রাতেই তার মা মিটিয়ে দেয়।
গতকাল রবিবার দুপুর ১ টার দিকে ডাঃ মেহেদী হাসান সাগর ও তার অন্তস্বত্তা স্ত্রী ডাঃ তানজিনাসহ অন্যান্যরা ঘরের বসে নিজেদের মধ্যে আলাপ করছিল। হঠাৎ ড্ঃা সাগরের বোন সুখী বেগম, বোন জামাই করিম ও মামাতে বোন লাকী বেগমসহ অন্যান্যরা অন্তস্বত্তা ডাঃ তানজিনা ও ডাঃ সাগরকে বাসা থেকে জোরপূর্বক বের করে দিতে উদ্দ্যত হয়। এ নিয়ে কথা কাটিকাটির এক পর্যায়ে সুখী বেগম ও তার স্বামী করিম ও মামাতে বোন লাকী মারমুখী হয়ে অন্তস্বত্তা ডাঃ তানজিনাকে মারধর শুরু। এক পর্যায়ে অন্তস্বত্তা ডাঃ তানজিনার তলপেটে লাথি মারলে সে গুরুতর আহত ও রক্তক্ষরন শুরু হয়।
এ অবস্থায় ডাঃ সাগর তার স্ত্রীকে রক্ষা করতে এগিয়ে এলে হামলাকারীরা তাকেও ব্যাপক মারধর করে। ডাক-চিৎকারের শব্দ পেয়ে স্থানীয় প্রতিবেশী ও কয়েকজন সাংবাদিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে। তারা ঝালকাঠি থানায় সংবাদ দিলে থানা পুলিশের এসআই দেলোয়ার ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করে। এ সময় পুলিশ পাহারায় চিকিৎসক দম্পতিকে উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসার নেয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাৎক্ষনিক ভাবে গর্ভবতী চিকিৎসক তানজিনা আফরোজ তমাকে বরিশাল শেরে বাংলা হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। আহত চিকিৎসক তানজিনা আফরোজ তমা গোপালগঞ্জ ও চিকিৎসক মেহেদী হাসান সাগর ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত।
অন্যদিকে ঝালকাঠি সদর উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ইসরাত জাহান সোনালী হামলাকারীদের পক্ষ মারমুখী ভূমিকায় নিয়ে সাংবাদিকদের ঘটনাস্থল বাসায় ডুকতে ও তথ্য সংগ্রহে বাধা দেয়। এছাড়াও কথিত এ নারী নেত্রী বিষয়টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে পুলিশ ও প্রশাসনক ম্যানেজ করার চেষ্ট করছে বলে আহত চিকিৎসক দম্পতি অভিযোগ করনে।
এ ব্যাপারে আহত চিকিৎসক এর মা জানান, তিন বছর যাবত তার চিকিৎসক ছেলে তাদের কাছে ছিল না তিনদিন পুর্বে ওর বাবা মারা যাওয়ার খবর পেয়ে তার স্ত্রীকে নিয়ে বাসায় আসে। রবিবার পারিবারিক বিভিন্ন কথার এক পর্যায়ে জমি-জমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে নিজেদের মধ্যে কথা কাটাকাটি এক পর্যায়ে এঘটনা ঘটে।
ঝালকাঠি সদর থানার ওসি তাজুল ইসলাম বলেন, আটকের কথা শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে চিকিৎসক দপ্ততিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এবিএন/আজমীর হোসেন তালুকদার/জসিম/এমসি