শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১
logo

অর্থের অভাবে চিকিৎসা নিতে পারছে না মুন্নি

অর্থের অভাবে চিকিৎসা নিতে পারছে না মুন্নি

চাঁদপুর, ৩১ অক্টোবর, এবিনিউজ : অর্থের অভাবে চিকিৎসা নিতে পারছেন না মুন্নি। হাসপাতাল থেকে শুধুই কাঁদছেন পঙ্গু মুন্নি। বিক্রি হওয়া ভাই-বোনকে ফেরত চায় মুন্নি। চাঁদপুর জেলার মতলব দক্ষিণ উপজেলার উপাদী উত্তর ইউনিয়নের নওগাঁও গ্রামের হতদরিদ্র বাউল শিল্পি তবলা বাজিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভিক্ষা করে সংসার পরিচালনা করেন আব্দুর রশিদ। মুন্নির ৭ বছর। মা জীবন্নেছা মারা গেছে। মুন্নি জানান, তার ৪ বছরের কুলচুমা আক্তার নামে ১ বোন ও রাকিবুল হাসান নামে ১ বছর বয়সের ১ ভাই ছিল। বর্তমানে তারা কোথায় আছে আমি জানি না। আমার মামী শাহনাজ আক্তার শুনু বেগম (৫০) স্বামী- হানিফ প্রধান, তাদেরকে বিক্রি করে দিয়েছে। একই সময়ে আমার মামী মিলি (৪৫) নামের এক মহিলার বাসায় ‘ঝি’ এর কাজ করার জন্য ঢাকা বনশ্রীতে পাঠায়। ভাই বোনদের চিন্তায় আমি কাজ করতে পারতাম না। কাজই বা কি বুঝি। মিলি আমাকে জোড় পূর্বক কাজ করতে ইস্ত্রী ও চামচ গরম করে ছ্যাঁকা দিতো এবং আমাকে মেরে ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখবে বললে আমি জানের ভয়ে মতলবে চলে আসি। সে সময় আমি মিলিদের বাসায় ৩ বৎসর ছিলাম। সে আমাকে অপরিসীম নির্যাতন করেছে। আমার পিঠে ও মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মতলবে এসে আমি এক বাসায় কাজ করি। আমি গত ৩ জুন এই বাসায় আম পাড়ার জন্য গাছে চড়ি। দূর্ভাগ্যক্রমে গাছ থেকে পড়ে আমার মেরুদন্ড ভেঙ্গে যায়। আমার বাসার মালিক আমাকে ঢাকা সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। প্রচুর অর্থ ব্যয় করেন তিনি। বর্তমানে মুন্নি মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। অর্থের অভাবে চিকিৎসা নিতে পারছেন না, দাড়োতেও পারছেন না মুন্নি। উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। মুন্নি কান্নাকণ্ঠে বলেন, সৎ মায়ের জন্য নীজ বাড়িতে যেতে পারছিনা। মামী সানুর কাছে আমার ও আমার মায়ের একাউন্টের ৫ লক্ষ টাকা পাবো। সেই টাকা তিনি দিচ্ছেন না ও আমার কোন খোঁজ খবর নিচ্ছেন না। মামী আমার ভাই-বোনকে বিক্রি করে দিয়েছে, আমি তাদের ফেরত চাই।

এবিএন/ শ্যামল চন্দ্র দাস/জসিম/নির্ঝর

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত