ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাংবাদিক সম্মেলন

ফেনী, ০১ নভেম্বর, এবিনিউজ : ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর মহিপালে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরে হামলা বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের ফল দাবী করেছেন ফেনী-২ আসনের এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী। আজ বুধবার ফেনী শহরের ট্রাংক রোড় ফুড গার্ডেনে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।

এসময় তিনি বলেন, ফেনী জেলা বিএনপি বহু গ্রুপ-উপগ্রুপে বিভক্ত। একদিকে ভিপি জয়নাল, অন্যদিকে রেহানা আক্তার রানু, আরেকদিকে আবদুল আউয়াল মিন্টু ও গাজী মানিকসহ অসংখ্য গ্রুপ রয়েছে। তারা কেউ একে অপরের নেতৃত্ব মেনে নিতে পারেন না।

ঘটনার দিন ওইসব গ্রুপ সক্রিয় হয়ে উঠে। এ গ্রুপিংকে পুঁজি করে কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্দেশে আন্দোলনের ইস্যু তৈরি করার জন্য খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরে থাকা সাংবাদিকদের উপর হামলা করানো হয়।

নিজাম হাজারী বলেন, ২০১৩ সালে ফেনী পাইলট হাইস্কুল মাঠে খালেদা জিয়ার সমাবেশেও বিএনপি নেতা-কর্মীরা হামলা চালিয়েছিলো। পরে তা প্রকাশিত হয়। এর আগে ফেনী সার্কিট হাউজ থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে জেলা যুবদল সভাপতি গাজী হাবিবুল্যাহ মানিক গ্রুপ তাঁর গাড়ী লক্ষ্য করে বোমা হামলা মেরেছেন। নিজাম হাজারী বলেন, আওয়ামী লীগের কোনো সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরে হামলায় জড়িত নয়।

তিনি বলেন, হামলার জন্য আওয়ামী লীগকে দায়ী করে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই। হামলায় জড়িত ফেনী সদর উপজেলার কালিদহ ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি সোহাগ ভূঞাঁসহ ছাত্রদল, যুবদল ও বিএনপির সকল দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানাই।

সংবাদ সম্মেলনে আরো ছিলেন- জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুর রহমান বিকম, সহ-সভাপতি এডভোকেট আক্রামুজ্জামান, এডভোকেট প্রিয় রঞ্জন, ছাগলনাইয়া উপজেলা চেয়ারম্যান সোহেল চৌধুরী, সোনাগাজী পৌর মেয়র এডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন, জেলা যুবলীগ সভাপতি ও দাগনভুঞা উপজেলা চেয়ারম্যান দিদারুল কবির রতন, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শুসেন চন্দ্র শীল, ফেনী পৌর প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী, পৌর যুবলীগ আহবায়ক রফিকুল ইসলাম ভূঁঞা, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সালাউদ্দিন ফিরোজ, সাধারন সম্পাদক জাবেদ জায়দার জর্জসহ, জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা।

এবিএন/মোঃ ইসমাঈল হোসেন/জসিম/রাজ্জাক