![লক্ষ্মীপুরে খাল থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন: হুমকির মুখে বেড়ী বাঁধ](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2017/11/06/abnews-24.bbb_109510.jpg)
লক্ষ্মীপুর, ০৬ নভেম্বর, এবিনিউজ : লক্ষ্মীপুর জেলা সদরের ১নং উত্তর হামছাদী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বরইতলা টু জামতলী রুটের বেড়ির খালে স্থানীয় সেলিম নামের এক ব্যক্তি বালু উত্তোলন করার জোর প্রস্তুতি চালাচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। সরেজমিন ঘুরে ও স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে জানা গেছে, উত্তর হামছাদী ইউনিয়নের পাটওয়ারী হাটের পাটওয়ারী বাড়ীর সেলিম পাটওয়ারী (৫৫) বালু ব্যবসা করার জন্য নদীর বালু উত্তোলনকৃত হেবিওয়েট ড্রেজার মেশিন ২টি উক্ত বেড়ীর খালে স্থাপন করা হয়। ৬ থেকে ৮ ইঞ্চি ব্যাসের পাইপ লাইন দিয়ে বেড়ির খাল থেকে বালু উত্তোলন করার তোলার সকল কার্য সম্পন্ন করে যাচ্ছে। গত দেড় মাস ধরে উক্ত খালের আশপাশের বাসিন্দাদের ব্যাপক বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে সেলিম বালু উত্তোলনের চূড়ান্ত সিন্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান স্থানীয়রা।
স্থানীয়দের মধ্যে মোঃ বাচ্ছু মালেক, রাজু, হিরন, মতিন, কাজল, টিপু সুলতান, আবু, খোরশেদ সহ প্রায় ৫৫/৬০জন বাসিন্দা বলেন, বেড়ির খাল থেকে বালু তোলা হলে বেড়ি থাকবে না, আমাদের ঘর বাড়ী থাকবে না, ফসলি জমি থাকবে না। কারন বেড়ির এতো ক্ষুদ্র পরিসরের খাল থেকে সুবিশাল ড্রেজার, যা দিয়ে নদীতে বালু কাটা হয়, ওই ড্রেজার মেশিন দিয়ে যদি এ বেড়ির খালে বালু কাটে আমাদের ভিটাবাড়ি, ফসলি জমি, বেড়ি সহ রাস্তাঘাট সবই তলিয়ে যাবে। আমরা এলাকাবাসী বালু তোলা বন্ধে প্রশাসনের সুদৃষ্টি করাছি। এ বিষয়ে জানার জন্য অভিযুক্ত সেলিমের মুঠোফোন ০১৮৬৭-৬০৩৪০১ নাম্বারে একাধিকবার চেষ্টা করেও তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। তবে সেলিমের ড্রেজারের সকল দায়িত্ব পালনকারী আবু তাহের ও আবদুল গণি বলেন, এখানে বালু তোলেন কবির পাটওয়ারী ও ইকবাল হোসেন।
আপনারা তাদের সাথে যোগাযোগ করেন। কোন কবির পাটওয়ারী পরিচয় জানতে চাইলে তারা বলেন চররুহিতা ইউনিয়নের রসুলগঞ্জের চেয়ারম্যান। ইকবাল হোসেন কে? তা জানাতে পারেননি তারা। এ বিষয়ে কবির পাটওয়ারীর সাথে একাধিক বার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। বালু তোলা নিয়ে স্থানীয় মেম্বার হাফিজ উদ্দিন বলেন, আমি স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এলাকাবাসীর উপস্থিতে সেলিমকে মেশিন তুলে নিতে বলেছি। সেলিম ঢাকায় ঠিকাদারী করে বলে তার অনেক টাকা হয়েছে।এজন্য আমাদের কথা শুনে না।
প্রত্যক্ষদর্শী লিটন বলেন বেড়ির খালে বালু কাটলে বেড়ি ভেঙে পড়ে যাবে, পশ্চিম পাড়ে বসবাসকারীদের বসত ঘর ভেঙে যাবে, মানুষের ফসলি জমি ভেঙে যাবে। আমরা এর প্রতিবাদ জানাই। স্থানীয়দের অভিযোগ বালূ তোলার বিরুদ্ধে কেউ কোনো প্রতিবাদ করলে তাদেরকে সেলিম মামলা হামলার হুমকি দিয়ে বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করে কোণঠাসা করে রাখেন বলে স্থানীয়রা জানান।
বালু তোলা নিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান এমরান হোসেন নান্নু বলেন -আমরা সেলিমকে বার বার নিষেধ করা সত্বেও সে তা অমান্য করে নদীর বালু উত্তোলনকৃত হেবি ড্রেজিং মেশিন ২টি এনে বেড়ির খালে বসিয়েছে। স্থানীয়দের কাছে জেনেছি সেলিম না কি বালু তুলবেই। আমরা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করি। জানা গেছে বেড়ির খালে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে সেলিম ও স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটার আশংকা রয়েছে। এ জন্য বালু কাটার আগেই তারা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন তারা।
এবিএন/অ.আ আবীর আকাশ/জসিম/তোহা