বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১
logo
  • হোম
  • সারাদেশ
  • ইন্দুরকানীতে ৬টি কমিউনিটি ক্লিনিকের বেহাল দশা
রোগীদের সেবা প্রদানে ভোগান্তি

ইন্দুরকানীতে ৬টি কমিউনিটি ক্লিনিকের বেহাল দশা

ইন্দুরকানীতে ৬টি কমিউনিটি ক্লিনিকের বেহাল দশা

ইন্দুরকানী (পিরোজপুর), ০৯ নভেম্বর, এবিনিউজ : পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে ৬টি কমিউনিটি ক্লিনিক দীর্ঘদিন ধরে জড়াজীর্ণ অবস্থায় থাকায় রোগিদের স্বাস্থ্য সেবা প্রদানে চেরম ভোগান্তির সৃস্টি হচ্ছে। জনগণের দোর গোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌছে দেয়ার লক্ষে বর্তমান সরকার প্রত্যন্ত অঞ্চলে কমিউনিটি ক্লিনিক গুলো ২০০৯ সালে পুনঃরায় চালু করার উদ্যোগ গ্রহন করে। কিন্তু এর আগে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় এসব ক্লিনিক গুলোর সংস্কার না হওয়ায় বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে। বর্তমানে এ উপজেলার ৬টি কমিউনিটি ক্লিনিকের অবকাঠামোগত অবস্থা অনেকটাই নাজুক।

জানা যায়, ইন্দুরকানী উপজেলায় লক্ষাধিক জনসংখ্যার স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতের জন্য ১৯৯৯-২০০২ সালে ৮টি এবং ২০১২- ২০১৩ সালে ৩টি সহ চলতি বছরে আরও ১টি সহ মোট ১২টি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ করা হয়। কিন্তু ২০০১ সালে তৎকালীন ৪ দলীয় জোট সরকার এর কার্যক্রম বন্ধ করে দিলে দীর্ঘ ৮ বছর পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকায় ক্লিনিকগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে।

পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রতি ৬ হাজার জনগোষ্ঠির স্বাস্থ্য সেবার জন্য একটি করে কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মান করা হয়। বর্তমান মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০১১ সালে অক্টোবরে ক্লিনিক পরিচালনার জন্য কমিউনিটি হেলথ্ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) নিয়োগের মাধ্যমে এর কার্যক্রম পুনরায় শুরু করে।

এ উপজেলার চাড়াখালি কমিউনিটি ক্লিনিক, খোলপটুয়া ক্লিনিক, জোমাদ্দারহাট ক্লিনিক এবং তালুকদার হাট ক্লিনিক রেখাখালী কমিউনিটি ক্লিনিক, ভবানিপুর কমিউনিটি ক্লিনিক বর্তমানে একেবারে জড়াজীর্ণ। এসব ক্লিনিকের বাথরুম ও টিউবওয়েল দীর্ঘ দিন ধরে অকেজো অবস্থায় পড়ে থাকায় আশপাশের বাড়িতে গিয়ে প্রকৃতির কাজ সারতে হচ্ছে সিএইচসিপি ও ক্লিনিকে আগত রোগীদের।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ক্লিনিকগুলোর ফ্লোর ও দেয়ালের প্লাষ্টার খসে পরা সহ বিভিন্ন স্থানে ফাটল ধরেছে। দরজা জানালায় জং (মরিচা) ধরে দিনদিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই এসব ক্লিনিকের ছাদ চুয়ে পানি পড়ে ঔষধ সহ সমস্ত আসবাবপত্র ভিজে যায়। বৃস্টির মৌসুমে ছাদ থেকে পানি পড়ায় সিএইচসিপিরা ছাদে পলিথিন ব্যবহার করে কোনমতে পানি পড়া বন্ধ করার চেস্টা করেন। ক্লিনিক গুলোর এ বেহাল অবস্থার কারনে স্বাস্থ্যকর্মি ও সেবা নিতে আসা রোগীদের পড়তে হয় অস্বস্তিতে।

এছাড়া কিছু কিছু ক্লিনিকে এখনো পৌছায়নি বিদ্যুৎ সুবিধা। যার কারণে গরমের মধ্যে প্রচন্ড কস্ট করতে হয় স্বাস্থ্যকর্মিদের। অবকাঠামোগত বিভিন্ন সমস্যার কারনে ক্লিনিক গুলোতে নরমাল ডেলিভারি করানোও সম্ভব হচ্ছেনা বলে জানান সিএইচসিপিরা। এখানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থাকলেও দীর্ঘ ৮ বছর ধরে ইনডোর চালু না হওয়ায় উপজেলার লক্ষাধিক মানুষকে স্বাস্থ্য সেবার জন্য কমিউনিটি ক্লিনিকের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে।

খোলপটুয়া কমিউনিটি ক্লিনিকের সিজি সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল হোসেন আবু জানান, এ এলাকার ক্লিনিক গুলোর অবকাঠামোগত নানান সমস্যার কারণে স্বাস্থ্যকর্মিদের সেবা প্রদানে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

এ ব্যাপারে জোমাদ্দারহাট কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি নাজমুন্নাহার বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলেই ক্লিনিকের ছাঁদ চুসে পানি পড়ে সমস্ত আসবাবপত্র ভিজে যায়। রোগীদের সেবা প্রদানে বিঘœ ঘটছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ শংকর কুমার ঘোষ বলেন, যেসব কমিউনিটি ক্লিনিকের অবকাঠামোগত সমস্যা রয়েছে সেসব ক্লিনিকগুলোর দ্রুত সংস্কারের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার তালিকা পাঠানো হয়েছে।

এবিএন/নাইম খান/জসিম/এমসি

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত