শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১
logo

লক্ষ্মীপুরে সাড়ে ৩শ’ কোটি টাকার সুপারি উৎপাদন

লক্ষ্মীপুরে সাড়ে ৩শ’ কোটি টাকার সুপারি উৎপাদন

লক্ষ্মীপুর, ০৯ নভেম্বর, এবিনিউজ : লক্ষ্মীপুরে উৎপাদিত সুপারির অর্থমূল্য এবার সাড়ে ৩শ’ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন কৃষি বিভাগ। বর্তমানে গাছ থেকে সুপারি সংগ্রহ, ভিজিয়ে রাখা এবং বাজারজাত করতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্টরা।

তাদের মতে চলতি বছর সুপারির বাম্পার ফলন হয়েছে, বাজার দরও ভালো থাকায় মহাখুশিতে রয়েছেন তারা। আরো বেশি লাভবান হতে সুপারি রফতানিযোগ্য প্রক্রিয়াজাত কেন্দ্র স্থাপনের দাবি জানান এলাকাবাসী।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, লক্ষীপুর সদর, রায়পুর, রামগঞ্জ, কমলনগর ও রামগতিসহ জেলার পাঁচ উপজেলায় ৬ হাজার ২৬৫ হেক্টর জমিতে সুপারি বাগান রয়েছে। আর এসব বাগান থেকে প্রতি বছর প্রায় ১২ হাজার ৫৩০ মেট্রিক টন সুপারি উৎপাদন হয়।

গত কয়েক বছরের মতো এবারও সুপারির বাম্পার ফলন হয়েছে জানিয়ে চলতি বছর সাড়ে ৩০০ কোটি টাকার সুপারি উৎপাদনের আশাবাদ ব্যাক্ত করেন কৃষি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক ও প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা ড. মো. সফি উদ্দিন। তিনি আরও বলেন, সরকারি বেসরকারি উদ্যোগে এখানে সুপারি প্রক্রিয়াজাত কেন্দ্র স্থাপন করা যেতে পারে। একই সঙ্গে সুপারির উৎপাদন আরও বাড়াতে বাগানীদের প্রতি বছরে অন্তত ২ বার বাগানে সার প্রয়োগ, কচুরি পানা ও বাগান পরিচর্চার পরামর্শ দেন তিনি।

জেলার প্রতিটি উপজেলায় প্রত্যেকটি বাড়ির আশে পাশের বাগানগুলোতে সারি সারিভাবে সাজিয়ে রোপন করা সুপারি গাছ দৃষ্টি কাড়ে সবার। বর্তমানে এসব গাছ থেকে সুপারি সংগ্রহ করতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন বাগানিরা।

একই সাথে সুপারি মৌসুমে বাগানিরা ৫০ হাজার থেকে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত বাগান ইজারা দিয়ে আয় করেন। আর ইজারাদাররাও লাভবান হন বলে জানান।

বর্তমানে কাহন প্রতি ১৪০০ থেকে ১৬০০ টাকা হারে নগদে বিক্রি করেন কেউ কেউ। অনেকে ভিজিয়ে ও শুকিয়ে রেখে ৩ থেকে ৪ মাস পর আরো বেশী দামে সুপারি বিক্রি করার প্রত্যাশায় থাকেন। এদিকে একেকজন শ্রমিক সুপারি পেড়ে গাছ প্রতি ৫ টাকা হারে প্রতিদিন ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা আয় করেন বলে জানান।

এখানে উৎপাদিত সুপারি জেলাবাসীর চাহিদা মিটিয়ে ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয় বলে জানান ব্যবসায়ীরা। লাভজনক ও অর্থকরী পণ্য হওয়ায় সুপারি উৎপাদনে দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে এখানকার মানুষদের।

সুপারি বেচাকেনা হয় জেলার জকসিন, মান্দারী, চন্দ্রগঞ্জ, রায়পুর, রামগতি ও কমলনগরসহ বিভিন্ন হাট বাজারে। সবচাইতে বড় হাট মিলে জেলা সদরের দালাল বাজারে। সপ্তাহের দুই দিন বেচা কেনা হয় এ বাজারে। এখানে প্রতি বাজারে ১০ লাখ থেকে ৫০ লাখ টাকার সুপারি বেচা কেনা হয়। কিন্তু এখনো পর্যন্ত জেলার কোথাও সুপারি রফতানি যোগ্য প্রক্রিয়াজাত কেন্দ্র স্থাপন না হওয়ায় ভালো সুফল পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করে প্রক্রিয়াজাত কেন্দ্র স্থাপনের দাবি জানান লক্ষ্মীপুরবাসী।

এবিএন/আকাশ/জসিম/রাজ্জাক

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত