শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১
logo

ফেনীর আ'লীগ নেতা আরজুর বাড়ীতে পুলিশের তল্লাশি

ফেনীর আ'লীগ নেতা আরজুর বাড়ীতে পুলিশের তল্লাশি

ফেনী, ১৬ নভেম্বর, এবিনিউজ : ফেনী জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আজহারুল হক আরজুর বাড়ীতে মঙ্গলবার গভীর রাতে তল্লাশি চালিয়েছে মডেল থানা পুলিশ।তল্লাশির সময় পুলিশ কাউকে আটক বা বেআইনি কোন কিছু উদ্ধার করতে না পারেননি।তল্লাশির নামে পুলিশের বিরুদ্ধে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের ছবি ও বাড়ী ঘর ভাংচুরের অভিযোগ করেছে চেয়ারম্যান আরজু।ফেনীর আ'লীগ নেতা আরজুর বাড়ীতে পুলিশের তল্লাশি

এ ব্যাপারে তিনি তার ফেসবুক আইডিতে বুধবার দুপুরে স্ট্যাটাস দিয়ে ঘটনার জন্য ফেনী মডেল থানার ওসি রাশেদ খান ছৌধুরীকে দায়ী করেন।স্ট্যাটাসে তিনি উল্লেখ করেন-

"গতকাল রাত দুইটায় ফেনী মডেল থানার Oc রাশেদ খান চৌধুরী ও এস আই নজরুলের নের্তৃত্বে এবং করিম হত্যা মামলার এজাহার ভুক্ত আসামীরা সহ প্রায় ৫০ জনের একটি দল আমার বাড়ি তে হামলা চালিয়ে আমার ছোট ভাইয়ের ডেইরী ফার্ম এবং আমার বালাখানা তছনছ করে। আমি নিশ্চিত মৃত্যু জেনেই এই লড়াই তে অবতীর্ণ হয়েছি। করিম হত্যার আসামীদের হাতে বন্দুক সহ অন্যান্য অবৈধ অস্ত্র ছিল। প্রিয় ফেনীবাসী এই অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান"।

ফেনীর আ'লীগ নেতা আরজুর বাড়ীতে পুলিশের তল্লাশি

অভিযোগের বিষয়ে জানতে ফেনী মডেল থানার ওসি রাশেদ খান ছৌধুরীর সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি তল্লাশির চালানোর বিষয়টি স্বীকার করলেও কোন প্রকার ভাংচুরের সাথে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেন।তিনি বলেন গ্রেফতারী পরোয়ানা মুলে ওই বাড়ীতে অভিযান চালানো হয়েছে।তাহলে বাড়ী-ঘর ভাংচুর করেছে কারা প্রশ্ন করা হলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেনি।

পুলিশের তল্লাশির বিষয়ে কা:বি: ১০২,১০৩ ও পি.আর.বি ২৮০ বিধিতে বলা হয়েছে-কোন মামলার আলামত, সন্দেহজনক বস্তু, চোরাইমাল, জাল দলিল, কতিপয় প্রকাশনা, বেআইনি ভাবে আটক ব্যক্তি উদ্ধারের জন্য পরোয়ানা সহ বা ব্যতিত যে সকল কার্যক্রম গ্রহন করা হয় তাকে তল্লাশি বলে।

তল্লাশির পদ্ধতিঃ

তল্লাশির পদ্ধতি আলোচনা করলে তিনটি উপাদান পাওয়া যায়, যথা-তল্লাশি পূর্বে, সময়, পরে।

তল্লাশির পূর্বে

১। যে স্থান তল্লাশি হবে তা সশস্ত্র

পুলিশ দ্বারা ঘেরাও করতে হবে-

পিআরবি ১৪৫ বিধি।

২। বাড়ির মালিকের অনুমতি নিতে

হবে- কাঃবিঃ ১০২(১) ধারা।

৩। নিরপেক্ষ ২/৩ জন গন্যমান্য ব্যক্তি

সাক্ষী হিসেবে ডাকতে হবে-

কাঃবিঃ ১০৩(১) ধারা।

৪। মালিকের উপস্থিতিতে সাক্ষী

এবং নিজের দেহ তল্লাশি

করাইতে হবে।

৫। পোষাক পরিহিত অবস্থায় হতে

হবে-পিআরবি ৯৫১ বিধি।

আজহারুল হক আরজুর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,পুলিশ কোন প্রকার অনুমতি না নিয়ে আইন বর্হিভুতভাবে ঘরের কলাপসিবল গেট ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে আসবাবপত্র সহ সবকিছুতে ভাংচুর চালায়।তাদের ভাংচুরের হাত থেকে জাতীর জনকের ছবিও রক্ষা পায়নি।

প্রসঙ্গত আজহারুল হক আরজু ফেনীর রাজনীতিতে বর্তমান নেতৃত্বের বিরোধী হিসেবে পরিচিত।তিনি ফেনী জেলা ছাত্রলীগ - যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও ধর্মপুর ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের টিকেটে ১৯ বছর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন।

এবিএন/আবুল হোসেন রিপন/জসিম/নির্ঝর

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত