ঝালকাঠি, ১৬ নভেম্বর, এবিনিউজ : ঝালকাঠির রাজাপুরের বড়ইয়ার বিষখালি নদীতে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে জাটকা ইলিশ শিকারের বাধা প্রদান করায় জেলে-পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় ১৭ জন জেলের নাম উল্লেখসহ ৫২ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। রাজাপুর থানায় দায়েরকৃত মামলায় সরকারি কাজে বাধা, পুলিশকে মারধর করে আসামী ছিনিয়ে নেয়া ও অবৈধ কারেন্ট জাল দখলে রাখার অভিযোগে করা হয়েছে।
গতকাল বধুবার গভীর রাতে নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আহত এসআই আতিকুর রহমান বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করলে রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ি থেকে মামলার এজাহারনামীয় আসামী শামিম ও খলিলকে গ্রেফতার করেছে। আটককৃত জেলে শামিম পালট গ্রামের মোঃ কাদেরের ছেলে ও খলিল একই গ্রামের জলিল হাওলাদারের ছেলে।
পুলিশ ও আহত জেলেরা জানান, গতকাল বুধবার সকালে সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে বিষখালি নদীতে কারেন্ট জাল দিয়ে জাটকা ইলিশ শিকারের সময় নুরজামালসহ ৩ জেলেকে আটক করে ট্রলারে টহলরত ৮ সদস্যের একটি নৌ পুলিশের দল। নুরজামালকে পুলিশ হেফাজতে রাখলেও বাকি ২ জেলে নদীতে ঝাপ দিয়ে পালিয়ে যায়।
পরে জেলে নুরজামালকে পুলিশের ট্রলারে বেঁধে নির্যাতন করা হচ্ছে এমন খবরে জেলে ও এলাকাবাসী কয়েকটি ট্রলারে গিয়ে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে আসার সময় পুলিশের সাথে জেলে ও এলাকাবাসীর সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। জেলে-পুলিশের সংঘর্ষে এক নারী, ৩ জেলে, ২ ট্রলার চালক ও ৫ পুলিশসহ মোট ১১ জন আহত হয়।
রাজাপুর থানার ওসি শামসুল আরেফিন জানান, এ ঘটনায় আহত নিয়ামতি নৌ পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ এসআই আতিকুর রহমান বাদি হয়ে মামলার করলে ২ আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে, বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এবিএন/আজমীর হোসেন তালুকদার/জসিম/এমসি