![‘ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করতেই ঠাকুরপাড়ায় হামলা’](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2017/11/19/quder_111675.jpg)
রংপুর, ১৯ নভেম্বর, এবিনিউজ :আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেন্দ্র করে সংখ্যালঘুদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করতেই রংপুরের ঠাকুরপাড়ায় এ হামলার ঘটনা বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ রবিবার দুপুরে সদর উপজেলার ঠাকুরপাড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দু বাড়িঘর পরিদর্শনে এসে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংখ্যালঘুদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টির পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে বিরাজমান সুসম্পর্ক নষ্ট করতেই একটি রাজনৈতিক অশুভ শক্তি রংপুরে এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
ওবায়দুল কাদের, ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর, কক্সবাজারের রামু এবং রংপুরের এই ঘটনা একই সূত্রে গাঁথা। একই ষড়যন্ত্রের অংশ।’
তিনি বলেন, ঠাকুরপাড়ার ঘটনায় যারা মঞ্চে ছিল, যারা নেপথ্যে ছিল তারা যতই প্রভাবশালী হোক না কেন কেউ রেহাই পাবে না। প্রত্যেককে বিচারের আওতায় আনা হবে, এটা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ।
ভারতের সঙ্গে যারা সম্পর্ক বিনষ্ট করতে চায় তারা বোকার স্বর্গে বাস করছে বলে মনে করেন কাদের।
হরকলি ঠাকুরপাড়ায় আসতে চেয়েছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘একই ফ্লাইটে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল এখানে আসতে চেয়েছিলেন বলে জেনেছি। তিনি যদি আমার সঙ্গে আসতেন, তবে আমি তাকে পাশে বসিয়ে আসতাম। তিনি এলে অনেক কথা হতো, চোখাচোখি হতো, ভাববিনিময় হতো, শুভেচ্ছা বিনিময় হতো। এটা আমি পজিটিভভাবে দেখতাম। কিন্তু উনি আসলেন না। নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে অন্য ফ্লাইটে এসেছেন বলে জেনেছি।’
হরকলি ঠাকুরপাড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলো ঘুরে দেখার পর ঠাকুরপাড়ায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক সমাবেশে যোগ দেন তিনি।
সংবাদ ব্রিফিং শেষে ওবায়দুল কাদের ঘর পুড়ে যাওয়া ৯ পরিবারের প্রত্যেকটিকে ২৫ হাজার টাকা, ভাংচুর হওয়া ৭ পরিবারের প্রত্যেকটিকে ১০ হাজার টাকা এবং মন্দির নির্মাণের জন্য ১০ হাজার টাকা অনুদান দেন।
এ সময় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ চৌধুরী ও বিএম মোম্মেল হক এবং স্থানীয় নেতাকর্মীরা তার সঙ্গে ছিলেন।
ঠাকুরপাড়া গ্রামের খগেন রায়ের ছেলে টিটু রায়ের বিরুদ্ধে ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগ তুলে গত ১০ নভেম্বর ঠাকুরপাড়া গ্রামে কয়েক হাজার মানুষের মিছিল থেকে হিন্দুদের বাড়িঘরে আগুন দেয়া হয়।
১১ নভেম্বর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ধর্মীয় অবমাননাকর স্ট্যাটাস দেওয়ার অভিযোগে হরকলি ঠাকুরপাড়া গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের আটটি বাড়ি পুড়িয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কোতোয়ালি, গঙ্গাচড়া ও তারাগঞ্জ থানার পুলিশ গিয়ে শটগানের গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে। এ সময় সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন নিহত হন। আহত হয়েছেন সাত পুলিশ সদস্যসহ ২৫ জন।
এবিএন/সাদিক/জসিম/এসএ