শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১
logo
  • হোম
  • সারাদেশ
  • পটুয়াখালীতে ঝাটকা নিধন বন্ধে প্রশাসনের ব্যাপক অভিযান

পটুয়াখালীতে ঝাটকা নিধন বন্ধে প্রশাসনের ব্যাপক অভিযান

পটুয়াখালীতে ঝাটকা নিধন বন্ধে প্রশাসনের ব্যাপক অভিযান

পটুয়াখালী, ২২ নভেম্বর, এবিনিউজ : পটুয়াখালীতে ঝাটকা নিধন বন্ধে প্রশাসনের ব্যাপক অভিযান। কমছেনা ঝাটকা পাচার। জেলার মৎস অাহরনের যে সকল দৃশ্যমান স্থান সমুহ রয়েছে তার অন্যতম রাঙ্গাঁবালি উপজেলাধীন চরমোন্তাজ,আন্ডার চর, গলাচিপা উপজেলাধীন চরকাজল,চরশিবা,

পানপট্রি,ও হরিদেবপুর, উলানিয়া বন্দর বাজার,দশমিনা উপজেলাধীন আলীপুরা বাজার ইত্যাদি ছাড়াও অসংখ্য ভাসমান স্থান গুলো থেকে প্রতিনিয়ত চলছে ঝাটকার রমরমা ব্যবসা। পাচারকারিরা ঝাটকা পরিবহনে নিচ্ছে নানা সব কৌশল।বর্তমানে ঝাটকা পাচারকারিরা যাএীবাহি লঞ্চ,টলার, ও ঢাকাগামী বিলাশ বহুল বাস্ যোগে ঝাটকা পাচার করে থাকে। পাচার কারিরা জানেনা ইলিশ কেবলমাএ

আমাদের জাতীয় মাছই নয় সম্পদও বটে।

বাংলাদেশে মোট উৎপাদিত মাছের প্রায় ১২ শতাংশ আসে শুধু ইলিশ থেকে এবং (জিডিপিতে) এর অবদান শতকরা ১ ভাগ।বর্তমানে ইলিশের উৎপাদন প্রায় ৩.০ লক্ষ মে.টন, যার বাজারমূল্য প্রায় ৭,৫০০ কোটি টাকা। উৎপাদিত ইলিশের সামান্যই বিদেশে রফতানি করে প্রায় ১৫০ কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়।

প্রায় ৫.০ লক্ষ লোক ইলিশ আহরণে সরাসরি নিয়োজিত এবং ২০-২৫ লক্ষ লোক পরিবহন, বিক্রয়, জাল ও নৌকা তৈরি, বরফ উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, রফতানি ইত্যাদি কাজে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত । তাই আমাদের অর্থনৈতিক উন্নতির সাথে এ মাছ রক্ষার একটা বড় ভূমিকা রয়েছে। ইলিশ মাছের উৎপাদন কমে যাবার যতগুলো কারণ রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে নির্বিচারে জাটকা নিধন। সাধারণভাবে নয় ইঞ্চি (২৩ সে.মি.) বা এর চেয়ে ছোট আকারের অপরিণত ইলিশ জাটকা নামে পরিচিত।বাংলাদেশের প্রায় সব বড় নদী এবং এর মোহনা ও উপকূলীয় এলাকায় ইলিশ ডিম ছেড়ে থাকে। বাংলাদেশের বড় নদী, উপকূলীয় অঞ্চল ও সাগরের মোহনা সহ সর্বমোট ৫২০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুরে ইলিশের অন্যতম প্রজনন ক্ষেত্র।

নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত সময়কালে এ এলাকা ও এর নিকটবর্তী এলাকাই হচ্ছে যথাক্রমে জাটকার প্রধান বিচরণ কাল ও ক্ষেত্র। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এলাকার জেলেরা ছোট ফাঁসের জাল (যা কারেন্ট জাল নামের সর্বাধিক পরিচিত) দিয়ে নির্বিচারে জাটকা ধরে চলেছে। ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র পর্যায়ে জাটকা নিধন নির্মূলে নানাবিধ কার্যক্রম গ্রহণ করার পরও জাটকা নিধনের তীব্রতা লক্ষ্যণীয় মাত্রায় কমানো সম্ভব হয়নি।

সরেজমিন প্রতিবেদনে পটুয়াখালী রাঙ্গাঁবালি উপজেলাধীন চরমোন্তাজ ইউনিয়নটির বেশকিছু জেলে পরিবারের সাথে আলোচনা করতে গেলে বেরিয়ে আসে অজানা সব তথ্য। এরকমই এক জেলে পরিবারের খালেক সর্দার,রফিক মাঝি প্রতিবেদক'কে জানান মোরা রোদে পুরি বৃষ্ঠিতে ভিজি অসহায় খিদার জালায় মাছ ধরি। অন্যপেশা মোরা বুঝিনা, পরানডা হাতে লইয়া নদীতে থাহি।সরকার মোগরে মা ইলিশ আর জাটকা ধরতে কি জানো জারি করছে কিছুডা জানি। তারা আরো জানান সরকার ইচ্ছে করলেই কারেন্ট জাল র্নিমূলে আরো কঠোর পদক্ষেপ নিলেই জাটকা নিধনে অগ্রনি সাফল্য হতে পারে। পাশাপাশি আমাদের সকলকে সচেতন হতে বলে জেলে সম্প্রদায় ও এলাকার জনগন মত প্রকাশ করেন। তাছাড়া দেশে যে পরিমান জাটকা উৎপাদিত হয় তার ১০ শতাংশ বড় হওয়ার সুযোগ পেলে ইলিশের উৎপাদন দ্বিগুন হবে বলেও তারা জানান। এ বিষয়ে পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে, তিনি প্রতিবেদককে জানান, আসলে আইন বিধি প্রকৃত পক্ষে সমাজকে সুন্দর ও সমৃদ্ধি করেতলে, তবে আইন বাস্তবায়নে জনসাধারণের জনসচেতনতার পাশাপাশি আন্তরিক হতে পারলে মনে হয়, আমাদের দেশের রুপালী সম্পৎ 'ইলিশ' রক্ষাকরা সম্ভব বলে মনে করেন।

এবিএন/জলিলুর রহমান (সোহেল)/জসিম/নির্ঝর

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত