
বাগেরহাট, ২২ নভেম্বর, এবিনিউজ : ‘মানুষ মানুষের জন্যে, জীবন জীবনের জন্যে’ এই প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মুমূর্ষু রোগীদের স্বেচ্ছায় রক্ত দান করে যাচ্ছে বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হেল্প ব্ল¬াড ডোনার ক্লাব। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এ পর্যন্ত সংগঠনের সদস্যের মাধ্যমে প্রায় দুই শতাধিক রোগীকে বিনামূল্যে রক্ত দান করা হয়েছে। এ ছাড়াও সংগঠনের মাধ্যমে বিভিন্ন জাতীয় দিবসে বিনামূল্যে প্রায় ১ হাজার মানুষের রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করা হয়েছে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের রক্তের গ্রুপ নির্নয় ও নতুন রক্ত দাতা সৃষ্টিতে বিভিন্ন ব্যক্তিকে উদ্বুদ্ধ করণের জন্য হেল্প ব¬াড ডোনার ক্লাব কাজ করে যাচ্ছে। ২০১১ সালের ২১ ফেব্র“য়ারি এ সংগঠনটি আনুষ্ঠানিক ভাবে বিনামূল্যের রক্তের গ্র“প নির্ণয়ের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে। এ পর্যন্ত সংগঠনটির প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় দুর্ঘটনায় কবলিত রোগী, রক্তস্বল্পতার রোগী ও সিজারিয়ান অপারেশনসহ বিভিন্ন ধরণের অপারেশনের জন্যে প্রায় দুই শতাধিক মুমূর্ষু ব্যক্তিকে রক্ত দান করা হয়েছে।
হেল্প ব¬াড ডোনার ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা প্রভাষক প্রদীপ মণ্ডল জানান, ২০১১ সালের ২১ ফেব্র“য়ারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হেল্প ব¬াড ডোনার ক্লাব চিতলমারীতে আত্মপ্রকাশ করে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এ পর্যন্ত সংগঠনের সদস্যদের মাধ্যমে এলাকার বিভিন্ন রোগীদের বিনা মূল্যে রক্ত দানে সহায়তা করে আসছে। জরুরি প্রয়োজনে কারো রক্তের দরকার হলে সংগঠনের সদস্য অথবা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সহায়তায় মুহুর্তের মধ্যে রোগীকে রক্ত দানের ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। তাছাড়া হেল্প ব¬াড ডোনার ক্লাব বিভিন্ন জাতীয় দিবসে বিনা মূল্যে চিতলমারীতে রক্তের গ্র“প নির্নয় করে আসছে। বর্তমানে এ সংগঠনে প্রায় ৫ শতাধিক সদস্য রয়েছেন। মুমূর্ষু রোগীর প্রয়োজনে সদস্যদের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে রক্ত সংগ্রহের ব্যবস্থা করা হয়। বর্তমানে ফেসবুকের স্ট্যাটাসের মাধ্যমেও দাতাদের কাছ থেকে রক্ত সংগ্রহ করে রোগীর জীবন বাঁচাতে সহযোগিতা করা হচ্ছে। তবে রক্ত দানের ক্ষেত্রে সব সময়ই চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা হয়ে থাকে।
হেল্প ব¬াড ডোনার ক্লাবের নিয়মিত রক্ত দাতা আনন্দ লাল দত্ত, হুসাইন বিশ্বাস, রিয়াজুল ইসলামসহ বেশ কয়েক জন ব্যক্তি জানান, এ সংগঠনের মাধ্যমে তারা ২০১১ সাল থেকেই নিয়মিত ভাবে বিনামূল্যে রক্ত দান করে যাচ্ছেন। তাছাড়া নিয়মিত রক্ত দানের মাধ্যমে তারা আনন্দ খুঁজে পান বলেও জানান।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন শেখ রুস্তম আলী ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক চন্দ্র শেখর মিস্ত্রী বলেন, চিতলমারীসহ আশ-পাশ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মুমূর্ষু রোগীদের রক্ত দানের ক্ষেত্রে হেল্প ব¬াড ডোনার ক্লাব দীর্ঘদিন কাজ করে যাচ্ছে। তাছাড়া রক্ত দান সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনা সৃষ্টি করে এ সংগঠন নতুন রক্তদাতা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
চিতলমারী ক্লিনিকের স্বর্ত্ত্বাধিকারী ডাঃ ফারুক আহমেদ বলেন, বিভিন্ন সময় মুমূর্ষু রোগীদের রক্তের প্রয়োজনে হেল্প ব¬াড ডোনার ক্লাবের সদস্যরা স্বেচ্ছারক্ত দান করে যাচ্ছে। একজন সুস্থ মানুষকে প্রতি তিন মাস অন্তর রক্ত দানে উৎসাহ প্রদানের জন্য সংগঠনের পক্ষ থেকে সচেতনা সৃষ্টি করা হয়ে থাকে।
এবিএন/এস এস সাগর/জসিম/নির্ঝর