
বাগেরহাট, ২৩ নভেম্বর, এবিনিউজ : বাগেরহাটের চিতলমারীর টমেটো চাষিরা সোনালি স্বপ্ন নিয়ে রাত-দিন ক্ষেতের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। তারা এলাকার অধিকাংশ আবাদি-অনাবাদি জমিতে এটি চাষ করে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন।
যদিও এ বছর কয়েক দফা বৈরী আবহাওয়ার ধকল (প্রভাব) গেছে তাদের ও টমেটো ক্ষেতের উপর দিয়ে। তারপরও যেটুক উৎপাদিত হবে তার নায্যমূল্য পেলে এ অঞ্চলের খেটে খাওয়া মানুষ গুলোর অর্থনৈতিক মেরুদন্ড অনেকটা সচ্ছল হবে। এমনটাটাই জানিয়েছেন এ উপজেলার প্রকৃত টমেটো চাষিরা।
স্থানীয় কৃষি অফিস ও এলাকার চাষিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার বড়বাড়িয়া, কলাতলা, হিজলা, চিতলমারী সদর, চরবানিয়ারী ও সন্তোষপুর ইউনিয়নের অধিকাংশ আবাদি-অনাবাদি জমি ও চিংড়ি ঘেরের পাড়ে এ বছর ব্যাপক ভাবে আগাম টমেটোর চাষ করা হয়েছে।
বর্তমানে প্রতিটি ক্ষেতে বাম্পার ফলন লক্ষণীয় হওয়ায় চাষিরা লাভের আশা করছেন। আশানুরূপ ফলন ও বাজার দর ভালো থাকলে চাষিরা তাদের অতীতের লোকসান কাটিয়ে লাভের অংশ ঘরে তুলতে পারবেন বলে আশা করছেন।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ চিংড়ি ঘেরের পাড় জুড়ে দৃষ্টিনন্দন টমেটোগাছে প্রচুর ফলন ধরেছে। উচ্চ ফলনশীল জাতের এ টমেটোর থোকায় নুইয়ে পড়েছে ডালপালা। আগামী ১৫দিনের মধ্যেই টমেটো বাজারে পুরোপুরি ভাবে সরবরাহ করা যাবে। তবে বাজারদর কী হবে তা নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছেন চাষিরা। বর্তমানে বাজারে কাঁচা টমেটোরও ব্যাপক চাহিদা।
প্রতি কেজি ৭০-৮০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। তবে পাকা টমেটো এখনো বাজারে তেমন না আসায় ১০০-১৫০ টাকা দরে কেজি বিক্রি হচ্ছে। প্রতি বছর রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকার পাইকাররা এখানে টমেটো কিনতে আসেন। দেশের নানা স্থানে ট্রাক যোগে চালান হয় এসব টমেটো।
ঢাকার ব্যবসায়ী হারুন শেখ জানান, এ উপজেলার সবজি ও টমেটোর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে রাজধানীতে। পুরো মৌসুমে এখান থেকে শত শত ট্রাক টমেটো রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চালান হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আবুল হাসান জানান, এ বছর উপজেলায় মোট এক হাজার ৫৯৩ একর জমিতে হাইটম, বিজলী, লাভলী ও বিউটিফুল জাতের উচ্চ ফলনশীল টমেটো আবাদ করা হয়েছে।
এখানকার চাষিরা নানা প্রতিকূল আবহাওয়ার সাথে সংগ্রাম করে দারুণ টমেটো ফলিয়েছেন। অনুকূল আবহাওয়া ও বাজার দর ভালো থাকলে চাষিরা তাদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারবেন।
এবিএন/এস এস সাগর/জসিম/এমসি