![আজ রাজাপুর পাকহানাদার মুক্ত দিবস](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2017/11/23/mukto_abnews_112368.jpg)
ঝালকাঠি, ২৩ নভেম্বর, এবিনিউজ : আজ বৃস্পতিবারঝালকাঠির রাজাপুর পাকহানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে দক্ষিনাঞ্চলের মধ্যে সর্বপ্রথম পাক হানাদার মুক্ত হয়েছিলো ঝালকাঠির রাজাপুর থানা। বৃহত্তর বরিশালের মধ্যে রাজাপুরের প্রথম শৃঙ্খল মুক্ত আকাশে ওড়ে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা।
গত ১৪ নভেম্বরের পর সারাদেশের ন্যায় রাজাপুরে মুক্তিযুদ্ধ আরও তীব্র হয়। দেশীয় দোসরদের সহায়তায় পাক বাহিনী সাধারণ নীরিহ জনগনকে ধরে এনে বধ্যভূমি সংলগ্ন খালের ঘাটে বেধে গুলি করে খালে ফেলে দেয়। লাশের গন্ধে ভারী হয়ে ওঠে আকাশ বাতাস। তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতা আবুল কালাম আজাদকে জাঙ্গালিয়া নদীর পাড়ে গর্ত করে জীবন্ত মাটি চাপা দেয় দোসর হানাদাররা।
১৯৭১ সালের ২২ নভেম্বর রাতে মুক্তিযোদ্ধারা রাজাপুর থানায় আক্রমন চালায় । শুরু হয় সন্মুখ যুদ্ধ। পরদিন সকাল ১০টা পর্যন্ত যুদ্ধ চলে। আব্দুর রাজ্জাক ও হোচেন আলী নামে ২ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। আহত হন কমপক্ষে ২০জন মুক্তিযোদ্ধা। তৎকালীন মুক্তিযুদ্ধে রাজাপুর থানা কমান্ডারের দায়িত্বে ছিলেন কেরামত আলী আজাদ।
মুক্তিযুদ্ধে সারা দেশকে ১১টি সেক্টরে বিভক্ত করা হয়ে ছিলো যার মধ্যে রাজাপুর থানা ছিল বরিশাল সাব সেক্টরের অধীন। আর এ সাব-সেক্টরের দায়িত্ব পালন করেন তৎকালীন ক্যাপ্টেন বর্তমান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সহসভাপতি শাহজাহান (যুদ্ধকালীন নাম ক্যাপ্টেন ওমর)।
উপজেলার কানুদাসকাঠিতে ক্যাপ্টেন ওমর মুক্তিযোদ্ধাদের ঘাঁটি তৈরী করেন। রাজাপুর থানায় সন্মুখ যুদ্ধ শুরু হলে তিনিও এ যুদ্ধে অংশ নেন ও গুলিবিদ্ধ হয়ে ছিলেন। পরবর্তীতে শাহজাহান ওমর মুক্তিযুদ্ধে অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বীরউত্তম খেতাবে ভূষিত হন।
রাজাপুর মুক্ত দিবস উপলক্ষে রাজাপুর প্রেসক্লাব দিনব্যাপি নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। এ উপলক্ষে আজ সকাল ৭টায় বধ্যভূমি ও বঙ্গবন্ধুর প্রত্রিকৃতিতে পুস্পঅর্পন সকাল ৯টায় প্রেসক্লাব চত্তর থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আলোচনা সভার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছে। পরে সন্ধ্যায় বধ্যভূমিতে মোমবাতি প্রজ্জলন ও আলোক সজ্জার আয়োজন করেছে প্রেসক্লাব।
এবিএন/আজমীর হোসেন তালুকদার/জসিম/এমসি