শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১
logo
  • হোম
  • সারাদেশ
  • বাউফলে তেতুঁলিয়া নদীর ভাঙনে দিশেহারা নদী তীরবর্তী পরিবার

বাউফলে তেতুঁলিয়া নদীর ভাঙনে দিশেহারা নদী তীরবর্তী পরিবার

বাউফলে তেতুঁলিয়া নদীর ভাঙনে দিশেহারা নদী তীরবর্তী পরিবার

বাউফল(পটুয়াখালী) , ২৬ নভেম্বর, এবিনিউজ : পটুয়াখালীর বাউফল তেতুঁলিয়া নদীর অব্যাহত ভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে উপজেলার ধূলিয়া ,কেশবপুর ,নাজিরপুর ও চন্দ্রদীপ ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী বসবাসরত পরিবারগুলো। গতকাল সরেজমিনে যেয়ে দেখা যায়,তেতুঁলিয়া নদীর ভয়াবহ ভাঙনে ইতিমধ্যেই ধূলিয়া ইউনিয়নের দশটি গ্রাম সহ মসজিদ, মাদ্রাসা,স্কুল, ৩০০ টি পরিবারের বশতবাড়ি ও ফসলি জমি, নাজিরপুর ইউনিয়নের পাঁচ টি গ্রাম,মসজিদ,মাদ্রাসা,স্কুল,১০০ টি পরিবারের বশতবাড়ি ও ফসলি জমি, চারদিকে পানিবেষ্টিত চন্দ্রদীপ ইউনিয়নে বেড়িবাধঁ নিমিত না হওয়ার কারনে ৬টি গ্রাম তেতুঁলিয়ার অব্যাহত ভাঙনে অসংখ্য ঘড়বাড়ি,রাস্তাঘাট ও ফসলি জমি নদীর গর্ভে বিলিন হয়েছে। এ ছাড়াও ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে ধূলিয়া ইউপির ধূলিয়া,মঠবাড়িয়া, গুচ্ছরাকাটি গ্রাম। নাজিরপুর ইউপির তালতলি, নিমদী, বড়ডালিমা, চরকচুয়া গ্রাম। কেশবপুর ইউপির তিন গ্রামের বেড়িবাাঁধ। যে কোন সময় তেতেুঁলিয়া নদীতে বিলিন হয়ে যেতে পারে ওই সব ইউনিয়নের গ্রামের মানুষের বসতবাড়ি, হাটবাজার,স্কুল, মাদ্রাসা, ফসলি জমি,ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গুলো। ভাঙনের অবস্থা এখন এতটাই তীব্র আকার ধারন করেছে যে অনেকে বসতঘর সরিয়ে নেয়ার সময়ও পাচ্ছে না। দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষ ।

নদী ভাঙনের শিকার হয়ে সর্বস্ব হারানো ধূলিয়া গ্রামের বাসিন্দা সেলিম মিয়া বলেন, প্রায় দশ একর জমি ছিল তার। তেতুঁলিয়ায় সব গ্রাস করে নেয়ায় এখন সে পথের ফকির। এখন তিনি অন্যের জমিতে কামলা খেটে পরিবারের জন্য সংসারের খরচ মেটাচ্ছেন। ধূলিয়া এনকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক নাসির উদ্দিন বলেন,তার বাড়ি নদীর গর্ভে বিলিন হওয়ার পর কালিশুরী বন্দরে এসে আশ্রয় নিয়েছেন।বর্তমানে তার স্কুলটিও ভাঙনের মুখে পড়েছে। স্থানীয়রা জানান জরুরি ভাবে ভাঙন রোধের জন্য সরকারি পদক্ষেপ না নেওয়া হয় তা হলে মঠবাড়িয়া,গুচ্ছরাকাটি ও ধূলিয়া গ্রামটি বাউফলের মানচিত্র থেকে মুছে যাবে। বর্তমানে তার স্কুলটিও ভাঙনের মুখে পড়েছে। এবং ভাঙনের মুখে থাকা পরিবারগুলোর মধ্যে আতংক ও হতাশা বিরাজ করছে। এব্যাপারে ধুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আঃ রব জানান,কয়েক মাস পূর্বে স্থানীয় এমপি ও জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ আ,স,ম ফিরোজ ,পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। কিন্ত এখন পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি ।

এব্যাপারে বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান বলেন,তেতুঁলিয়া নদীর ভাঙন রোধ করতে প্রায় ৩০০ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদনের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রানালয় পাঠানো হয়েছে । বরাদ্ধ অনুমোদন হয়ে আসলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে ওই প্রকল্পের কাজ করা হবে ।

এবিএন/মো.দেলোয়ার হোসেন/জসিম/নির্ঝর

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত