![বড়াইগ্রামে রাস্তা সংস্কারে বাধা](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2017/12/01/nator_abnews24 copy_113255.jpg)
বড়াইগ্রাম (নাটোর), ০১ ডিসেম্বর, এবিনিউজ : একটি মহল্লার প্রায় দেড়’শ পরিবারের সহস্রাধিক মানুষের চলাচলের রাস্তা এটি। মহল্লাবাসী দির্ঘদিন থেকে এই পথেই চলাচল করে। সম্প্রতি ওই রাস্তা ঘেষে জাহেদা হাসপাতাল নামে একটি ক্লিনিক তৈরী করেছেন ডা. জাহিদুল ইসলাম। ক্লিনিকট তৈরীর ফলে রাস্তাটি নিচু হয়ে পড়ে। আবার ক্লিনিক মালিক রাস্তা বন্ধের জন্য ওই জমির মালিকের নিকট থেকে তা কিনে নেওয়ার চেষ্টায় লিপ্ত হয়। পরে মহল্লাবাসী নিজ উদ্যোগে ১.২৫ শতাংশ জমি তিন লাখ টাকায় কিনে জেলা প্রশাসকের নামে রেজিষ্ট্রি করে দিয়েছেন। এখন আবার তারাই চাঁদা তুলে রাস্তাটিতে মাটি ফেলে সংস্কার করছিলেন। এদিকে ডা. জাহিদুল ইসলাম জমি দাতার অন্য ওয়ারিশের নিকট থেকে দুই শতাংশ জায়গা কিনে নেন।
এবার তিনি দাবী করেন রাস্তার জায়গাটিই তিনি কিনেছেন। আর সেই দাবীর প্রেক্ষিতে একের পর এক মামলা করে চলছেন মহল্লাবাসীর উপর। যদিও শেষ অবধি কোন মামলায় টেকে না। সর্বশেষ গত ১৯ নভেম্বর ওই রাস্তা সংস্কারের উপর ১৪৪ ধারা জারির আবেদন করে মহল্লাবাসীর উপর মামলা করেছেন ডা. জাহিদের মা জাহেদা বেগম। নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া পৌরসভার সরদারপাড়া মহল্লার ঘটনা এটি।
আজ শুক্রবার সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে মহল্লাবাসীর সাথে কথা বলে ও বিভিন্ন কাগজপত্র দেখে জানা যায়, সরদারপাড়া মহল্লার একটি অংশের মানুষ ওই রাস্তা দিয়ে দীর্ঘদিন থেকে চলাচল করে আসছেন। সম্প্রতি জাহেদা হাসপাতাল নামে একটি ক্লিনিক রাস্তা সংলগ্ন জমিতে করেই ওই রাস্তা বন্ধের চেষ্টায় লিপ্ত হয় তারা।
রাস্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে এবং বন্ধের প্রক্রিয়া রোধ করতে মহল্লাবাসী উদ্যোগী হয়ে ওই জমি কিনে জেলা প্রশাসকের নামে রেজিষ্ট করে দেয়। পরে তারা নিচু রাস্তা সংস্কারে জন্য মাটি ফেলতে গেলেই বিরোধের সৃষ্টি হয়। সেখানে তাদের বাধা এবং আদালতে অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত জুন মাসে তৎকালীন সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাসরিন বানু, তৎকালীন ইউইএনও ইশরাত ফারজানা সরেজমিন পরিদর্শন করে রাস্তা বহাল এবং সংস্কারের পক্ষে মতামত দিয়েছিলেন।
মহল্লাবাসীর পক্ষে অধ্যাপক শরিফুল ইসলাম মিঠু, অধ্যক্ষ ওসমান গণি, সহকারী শিক্ষা অফিসার আকরামুজ্জামান রতন বলেন, আমরা জনসার্থে নিজ উদ্যোগে রাস্তা করছি। এর বিরুদ্ধে বারে বারে বাধা এটা কোন বিবেকবান মানুষের পক্ষে কি আদৌ সম্ভব। আমাদের নামে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে এটা মেনে নেওয়া যায় না।
বনপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম বলেন, ওই রাস্তা সংস্কার নিয়ে একাধিক স্থানীয় মিটিং-এ আমি উপস্থিত থেকেছি। আমি দেখেছি ডা. জাহিদুল অন্যায় ভাবে মহল্লাবাসীকে হয়রানি করছে। স্থানীয় কাউন্সিলর ঈমান আলী বলেন, এভাবে জনসাধারণের রাস্তা বন্ধের উদ্যোগ মোটেও মেনে নেওয়া যায় না। এদের বিরুদ্ধেই এখন আইননানুগ ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
এবিএন/আশরাফুল ইসলাম আশরাফ/জসিম/তোহা