![বড়াইগ্রামে শিক্ষিকাকে মারধরের অভিযোগে নারী কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে মামলা](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2017/12/03/nator_abnews24 copy_113518.jpg)
বড়াইগ্রাম (নাটোর), ০৩ ডিসেম্বর, এবিনিউজ : নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া পৌরসভায় এক কলেজ শিক্ষিকাকে মারধর এবং তার বাসায় ভাংচুরের অভিযোগে সংরক্ষিত ্আসনের নারী কাউন্সিলর শরিফুন্নেসা শিরিনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে বনপাড়া শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব মহিলা অনার্স কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিষয়ের প্রভাষক ফারহানা সাথী বাদী হয়ে ওই মামলাটি দায়ের করেন। এদিকে রোববার অভিযুক্ত কাউন্সিলরকে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবীতে ইউএনও বরাবর স্মারক লিপি এবং প্রতিবাদ সভা করেছে কলেজের সকল-শিক্ষক কর্মচারী।
ফারহানা সাথী এবং স্থাণীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শরিফুন্নেসা শিরিন রোববার সন্ধায় পৌরসভার কালিকাপুরস্থ ফারহানা সাথীর বাসায় তার স্বামী কামরুল ইসলাম কল্লোলকে খোঁজ করতে আসেন। কল্লোল সে সময় বাসায় না থাকায় তাকে খোঁজার কারন জানতে চাইলে সে (শিরিন) কোন জবাব না দিয়ে বাসার ভিতরে ঢুকে আসবাবপত্র তছনছ করতে থাকলে সাথী বাধা দেয়। এতে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে সাথীকে লাঠিদিয়ে বেদম মারপিট করে এবং বাসার কম্পিউটার, ফ্রিজ, আলমারী, গ্যাস বার্ণারসহ ব্যবহার্য জিনিসপত্র ব্যাপক ভাংচুর করে। ভাংচুর শেষে বের হয়ে যাওয়ার সময় শিরিন বলে আসেন, তার (সাথীর) স্বামী কামরুল ইসলাম কল্লোল শিরিনকে ১০ লাখ টাকা দেনমোহরে দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। এখন তার সাথে যোগাযোগ না রেখে পালিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। কল্লোলকে না পেলে আবারও বাসায় হামলা করা হবে বলে হুসিয়ারী দিয়ে আসেন শিরিন।
পরে ফারহানা সাথী স্থাণীয় অভিভাবক এবং তার সহকর্মীদের সাথে নিয়ে বড়াইগ্রাম হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নেন। সেখান থেকে থানায় গিয়ে শরিফুন্নেসা শিরিনের নামে লিখিত অভিযোগ করেন। বনপাড়া শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব মহিলা অনার্স কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা বলেন, শিরিন একজন জনপ্রতিনিধি আসন্ন নির্বাচনেও সে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী। তার নিকট থেকে এ ধরণের আচরন মোটেও কাম্য নয়। তার প্রার্থীতা বাতিলসহ কঠিন শাস্তি হওয়া উচিৎ। এ ধরণের নারী সমাজের জন্য ভয়ঙ্কর। তার কাছে কোর নাগরিক নিরাপদ নয়। বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহরিয়ার খান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, রোববার দুপুরে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আসামী পলাতক রয়েছে, তাকে ধরতে পুলিশের টিম কাজ করছে। অবিলম্ব্ েশিরিনকে গ্রেফতার করে আইনের হাতে সোপর্দ করা হবে বলেও জানান তিনি । বড়াইগ্রামের ইউএনও আনোয়ার পারভেজ স্মারক লিপি পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সব ধরণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ বিষয়ে কথা বলতে কামরুল ইসলাম কল্লোল এবং শরিফুন্নেসা শিরিনকে একাধিক বার ফোন করেও পাওয়া যায় নাই।
এবিএন/আশরাফুল ইসলাম আশরাফ/জসিম/তোহা