![কলাপাড়ায় ব্রীজের সংযোগ সড়ক না থাকায় জনদূর্ভোগ চরমে](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2017/12/05/bridge_abnews_113754.jpg)
কলাপাড়া (পটুয়াখালী), ০৫ ডিসেম্বর, এবিনিউজ : উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা বাজারের আরসিসি গার্ডার ব্রীজটির নির্মান কাজ শেষ হওয়ার দীর্ঘ দিন পরেও শেষ হয়নি সংযোগ সড়কের নির্মান কাজ। এ কারণে এর সুফল বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ ও পরিত্যক্ত পুরনো সেতু দিয়ে পার হতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, লালুয়া মুক্তিযোদ্ধা বাজার সংলগ্ন নদীর ওপর আরসিসি গার্ডার ব্রীজ নির্মানের জন্য ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরে ৩ কোটি ৯ লক্ষ ৩৪ হাজার ৭৬২.৪৭ টাকা বরাদ্দে লালুয়া-নীলগঞ্জ ভায়া মিঠাগঞ্জ ইউপি সড়কে ৭২ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ফুটপথ সহ ৭.৩২ মিটার প্রস্থ আরসিসি গার্ডার ব্রীজের দরপত্র আহবান করে। দরপত্র অনুসারে পটুয়াখালীর মেসার্স মহিউদ্দীন আহমেদ ঠিকাদার কাজ করার দায়িত্ব পেলে ২১ জানুয়ারী ২০১৬ ব্রীজ নির্মাণের কার্যাদেশ দেয় এলজিইডি।
স্থানীয়রা জানান, এলজিইডি দপ্তরের নজনদারি না থাকায় ঠিকাদার ধীর গতিতে ব্রীজের কাজ করতে থাকে। ব্রীজটি নির্মানের পর নানা অজুহাতে এর সংযোগ সড়কের নির্মান কাজ সম্পন্ন না করার ফলে স্থানীয়রা ব্রীজটির সুফল থেকে বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি জনমনে সরকারের প্রতি নেতি বাচক প্রভাব পরছে।
সংযোগ সড়ক না থাকায় নব নির্মিত ব্রীজটি ব্যবহার অনুপযোগী থাকার কারনে সাধারন মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাধ্য হয়ে পুরনো ও পরিত্যাক্ত ঝূঁকিপূর্ন আয়রন ব্রীজ ব্যবহার করে তাদের জীবন যাত্রা চালিয়ে যাচ্ছেন। শিশু, বৃদ্ধ, স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, ব্যবসায়ীসহ সাধারন মানুষের দুর্ভোগ এখন চরমে পৌঁছেছে। সম্প্রতি এক মাছ ব্যবসায়ী মাছ বোঝাই ভ্যান নিয়ে আয়রন ব্রীজ পার হতে গিয়ে কাঠের পাটাতন ভেঙ্গে নিচে পরে বুকের হাড় ভেঙ্গে যায়। এভাবে প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে কোন না কোন দুর্ঘটনা।
কলাপাড়া এলজিইডি’র উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো: দেলোয়ার জানান, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত গার্ডার ব্রীজটির নির্মান কাজ শেষ করার সময় রয়েছে। এ সময়ের মধ্যে সংযোগ সড়কের কাজ শেষ করে জনসাধারনওে চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
এবিএন/তুষার হালদার/জসিম/এমসি