![ভালোবাসার টানে ইন্দোনেশিয়ান তরুণী এখন বাউফলে](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2017/12/05/abnews-24_113797.jpg)
বাউফল (পটুয়াখালী), ০৫ ডিসেম্বর, এবিনিউজ : ভালোবাসার টানে ইন্দোনেশিয়ার এক তরুণী এবার হাজার হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ছুটে এসেছেন তার ভালোবাসার মানুষের কাছে। কোন বাধাই তাকে ফেরাতে পাড়ে নাই। পারিবারিক ও সামাজিক বন্ধন তোয়াক্কা করার সময় যেন ভালোবাসার কাছে নেই। প্রথমে সামাজিক যোগাযোগ ফেইসবুকে তাদের পরিচয়, সেখান থেকে বন্ধুত্ব, বন্ধুত্ব থেকে গড়ায় প্রেমের সম্পর্কে। সেই সম্পর্কেই শুরু হয় মন দেওয়া নেওয়া। আর সেই ভালোবাসার টানেই বাঙালী তরুনের কাছে ছুটে আসে ইন্দোনেশিয়ান এক সুন্দরী তরুনী।
এমনই ঘটনা ঘটেছে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার দাসপাড়া ইউনিয়নের পুরান বাবুর্চি বাড়ি গ্রাম এলাকায়।তরুনীর নাম নিকি উল ফিয়া। সে ইন্দোনেশিয়ার সুরা বায়া বিভাগের জাওয়া গ্রামের মি. ইউ লি আন থো এর মেয়ে।ওই তরুনী একটি বেসরকারী বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। বাবাও একজন চকুরিজীবি।তরুনের নাম মো. ইমরান হোসেন, উপজেলার দাসপাড়া ইউনিয়নের পুরান বাবুর্চি বাড়ি গ্রামের দেলোয়র হোসেনের পুত্র। ইমরান পটুয়াখালী সরকারী কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিষয়ে অর্নাস তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।
ইমরান বলেন, প্রায় এক ব্ছর আগে ফেইসবুকের মাধ্যমে ইন্ধোনেশিয়ান মুসলিম পাবিারের সন্তান তরুনী নিকি উল ফিয়ার সাথে তার পরিচয় হয়। পরিচয়ের মাধ্যমে বন্ধুত্বের এক পর্যায়ে তার সাথে প্রেমের সম্পর্কে গড়ায়। নিকি উল আমার দেশ ও আমাদের কৃষ্টি ও সংস্কৃতি সম্পর্কে আমার কাছ থেকে জানে। আমার পরিবার সম্পর্কে সব কিছু জেনে আমার সাথে সম্পর্কের স্থায়ী রুপ দিতে চায়। তাই সে গত ১ ডিসেম্বর রাজধানীর হযরত শাহ জালাল বিমান বন্দরে এসে নামলে আমি তাকে আমার গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার দাসপাড়ায় নিয়ে আসি।
আজ মঙ্গলবার স্থানীয় সাংবাদিকদের তরুনী নিকি উল ফিয়ার বলেন, তিনি ইমরানের প্রতি গভীর ভালোবাসার টানে বাংলাদেশে এসেছেন। তিনি তার সাথে বিবাহে আবব্ধ হতে চান। বিষয়টি তার মা বাবকে জানিয়েই এসেছেন। তিনি এ দেশের মানুষের আতিথীয়তা ও ভালোবাসায় মুগ্ধ। ইমরানের বাবা দেলোয়ার হোসেন বলেন, নিকি উল ফিয়া এখানে এসে ফেইস বুকের মাধ্যমে তার বাবা মায়ের সাথে কথা বলেছে। এখন বিয়ের সব কিছুই নির্ভর করবে নিকি উল ফিয়ার ইচ্ছার ওপর। পারিবারিক ভাবে বিবাহে আমাদের কোন আপত্তি নেই।
এবিএন/দেলোয়ার হোসেন/জসিম/তোহা