![আগামীকাল ৬ই ডিসেম্বর ডোমারে হানাদার মুক্ত দিবস](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2017/12/05/abnews-24.bbbbbbbbbbb_113813.jpg)
নীলফামারী, ০৫ ডিসেম্বর, এবিনিউজ : ১৯৭১ সালের ৬ই ডিসেম্বর নীলফামারীর ডোমার উপজেলা শত্রুমুক্ত হয়। উড়ে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা। বাংলাদেশের পতাকা হাতে সব শ্রেনীর মানুষ রাস্তায় নেমে পরে। শ্লোগানে শ্লোগানে ভারী হয়ে উঠে রাজপথ। ১৯৭১ সালের ৬ই ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত হয় ডোমার। ১৯৭১ সালের ৪ ডিসেম্বর ভোরে মুক্তিযোদ্ধারা বোড়াগাড়ী হাসপাতালের উত্তরদিকে হলদিয়াবন ও বুদলিরপাড় গ্রামে অবস্থান নিয়ে পাক সেনাদের প্রতিহত করতে শুরু করে। দুপক্ষের মধ্যে চলে তুমুল সংঘর্ষ। সংঘর্ষে ৩ জন পাক সেনা মারা যায়। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয় দুইজন মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে সম্মুখ যুদ্ধে পাক বাহিনী পরাজয় নিশ্চিত জেনে পিছু হঠতে শুরু করে। ৫ ডিসেম্বর রাতে মুক্তিযোদ্ধারা যাতে ডোমারে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য বোড়াগাড়ী ব্রীজটি বোমা মেরে উড়িয়ে দেয় হানাদার বাহিনী। রাতে বোড়াগাড়ীর উত্তরপাড়ায় পাক বাহিনী হামলা চালিয়ে ৭ জন নিরিহ মানুষকে হত্যা করে।
ডোমার উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাংগঠনিক কমান্ডার মোঃ শসসের আলী জানান,আমরা ফ্লাইট লে. ইকবালের নির্দেশে ৬ ডিসেম্বর বোড়াগাড়ী হাসপাতালে একত্রিত হই। ভোরের দিকে মেজর ছাতোয়াল ও মুক্তিযোদ্ধা প্লাটুন কমান্ডার আমিনার রহমান আমাদের সাথে যোগ দেয়। আমরা এক হয়ে ৬ ডিসেম্বর সকালে ডোমার শহরে প্রবেশ করে ডোমার হানাদার মুক্ত করি। সে সময়ের ৬ নম্বর সেক্টর কমান্ডার খাদিমুল বাশারের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা বিজয় পতাকা উত্তোলন করে মুক্ত হয় ডোমার। পাকহানাদার বাহিনীর অত্যাচারে ডোমারের অসংখ্য মানুষ নির্যাতনের শিকারসহ বাড়ী-ঘড়ে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। লুটপাট করা হয় সবকিছু।
ডোমার উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জব্বার বলেন, মুক্তিযুদ্ধে পাক হানাদার বাহিনী ডোমারের নিরিহ মানুষের উপর হামলা করে তাদের বাড়ী-ঘড় জ্বালিয়ে দেয়। হত্যা করে অসংখ্য মানুষকে। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখহাসিনাকে ধন্যবাদ জানান মুক্তিযোদ্ধাদের বেতন সহ নানা সুযোগ সুবিধা দেওয়ার জন্য। তবে সাবেক কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা আমিনার রহমান জানান, ৬ ডিসেম্বর নয় ১১ ডিসেম্বর মুক্ত হয় ডোমার। তিনি বলেন ১২ ডিসেম্বর নীলফামারী মুক্ত হয়। নীলফামারী ১২ ডিসেম্বর মুক্ত হলে মুক্তিযোদ্ধারা ৬দিন কোথায় ছিলেন। দিবসটি পালন উপলক্ষে ব্যাপক কর্মসূচী গ্রহন করেছে ডোমার উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড।
এবিএন/আব্দুল্লাহ আল মামুন/জসিম/তোহা