![দৌলতদিয়া নৌরুটে আরো দুটি ফেরি নামানো হবে: নৌপরিবহন মন্ত্রী](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2017/12/08/bootmontri2_114171.jpg)
রাজবাড়ী, ০৮ ডিসেম্বর, এবিনিউজ : দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে যানবাহণ সুষ্ঠভাবে পারাপারের লক্ষ্যে পরিবহণ মালিক, শ্রমিক, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও ঘাট কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা সভা করেছে নৌ পরিবহণ মন্ত্রী শাজাহান খান এমপি।
৬ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ঘাট এলাকার রেস্ট হাউজ চত্বরে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়া ঘাটের যানজট দূর করতে চলতি ডিসেম্বর মাসেই আরো দুটি নতুন ফেরি নামানো হবে।
এখন থেকে দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়া ঘাটে আটকে থাকা গাড়ী চালক ও শ্রমিকরা ফেরি পারাপারের টিকিট কাটবে। আগামী এক মাস পর ঘাটে আজকের যে বিশৃঙ্খলা, তা আর থাকবেনা। গাড়ি চালক ও হেলপারদের কেউ যাতে হয়রানীর শিকার না হয় সেদিকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী বিশেষ ভূমিকা রাখবে। এছাড়া জরুরী পচনশীল ও যাত্রীবাহি পরিবহনের সাথে ভারতগামী কোচগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পার হবে।
জেলা প্রশাসনের আয়োজনে আয়োজিত নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধিনস্থ বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাটে সুষ্ঠু ও নিরাপদ গাড়ী পারাপারের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. শওকত আলী।
সভায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া উভয় ঘাটে যানবাহন থেকে চাঁদাবাজি, অতিরিক্ত অর্থ আদায়, নৌপথে যানবাহন পারাপার ও বিশৃঙ্খলা নিয়ে নানা ধরনের অভিযোগ উঠে আসে। এসব অভিযোগ দূর করতে ১২ সদস্যের একটি কমিটি গঠনের ঘোষণা দেন নৌপরিবহন মন্ত্রী। কমিটিতে জেলা প্রশাসককে আহবায়ক করে পুলিশ সুপার, শ্রমিক পরিবহন, শ্রমিক ফেডারেশন, রাজবাড়ী পরিবহন শ্রমিক সংগঠন, বিআইডব্লিউটিসি ও বিআইডব্লিউটিএর প্রতিনিধির সমন্বয়ে কমিটি গঠন করা হবে। কমিটি আগামী এক মাসের মধ্যে সমস্যা চিহিৃত ও সমাধানের প্রস্তাব নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে পেশ করবে।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী, বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান জ্ঞান রঞ্জন শীল, যুগ্ম-সচিব সহিদুল ইসলাম, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর মোজাম্মেল হক, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফকীর আব্দুল জব্বার, পুলিশ সুপার সালমা ইসলাম, জেলা আ.লীগের যুগ্ম-সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী, বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক, গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবিএম নুরুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রমূখ।
এবিএন/খন্দকার রবিউল ইসলাম/জসিম/নির্ঝর