![চরমোন্তাজে বন ও পরিবেশ এর অফিসের পাসেই শুটকি পল্লী! জনসাস্থ হুমকির মুখে](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2017/12/08/abnews-24_114200.jpg)
পটুয়াখালী, ০৮ ডিসেম্বর, এবিনিউজ : কোন পরিকল্পিত পরিকল্পনা ছাড়াই গড়ে উঠেছে শুটকি পল্লী, যা জনসাস্থ্য হুমকির মূখে। সরজমিনে স্থানীয় প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যে জানা যায়, পটুয়াখালীর রাংগালীর উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের প্রধান রাস্তাটিই হল সাইড বেরি এবং যার উপর অবস্থিত প্রধান পাচটি বাজার এরমধ্যে অবস্থিত মোন্তাজ স্লুইজ বাজার ও বউ বাজার মোন্তাজের প্রান কেন্দ্রে অবস্থিত যেখানে রয়েছে সর্ব বৃহৎ এবং সবচেয়ে পুরানো সরকারিপ্রাইমারি,মাধ্যমিকবিদ্যালয়,ও পুলিশ ফাড়িঁ সহ স্থানীয় পুরান বাজার হাফেজী মাদ্রাসা এবং চরমোন্তাজ ইউনিয়ন পরিষদ ভবন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় প্রায় দশ বছর আগে স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে বন ও পরিবেশ এবং মৎস্য কর্মকর্তাদের যোগসাজশে শুটকি পল্লীর জন্ম হয়েছিল এ শুটকি পল্লী যা আজো বিদ্যমান। স্থানীয় বাসিন্দা বিটন আরিন্দা বলেন, শুটকির পচাঁ গন্দে আমাগো প্যাট ভইররা থাহে, আনসার মিয়া বলেন "আমগো নিঃশ্বাসে হুটকি বিশ্বাসে হুটকি, হুটকি মোগো প্যাডের মধ্যে"।
চরমোন্তাজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক ও শিক্ষীকা বলেন, অপরিকল্পিত গড়ে উঠা শুটকি কালীন সময় ক্লাসে বসে অনেক বাচ্চারাই বমি করে, তাছারা আমরা কোন সমাজে, কোন সভ্যতায় বসবাস করছি? বন ও পরিবেশ রেঞ্জ কর্মকর্তার পাশেই কি ভাবে এই ধরনের পরিবেশ ধ্বংস যোগ্য অপকর্ম করে আসছে, তা ভাবতেও অবাক লাগে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন । পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ ফেরদৌছ আহাম্মেদ বলেন, পরিবেশ আইনের আওতায় ইহা বিচার্যএবং জনগন সোচ্চার হলেই ইহা রোধ করা সম্ভব। এমতাবস্থায় এসব বিষয় ক্ষতিয়ে দেখা না হলে মহামারি সহ অনেক বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে এর পাশাপাশি পরিবেশ আইনের আওতায় বসবাসরত এলাকা থেকে প্রয়োজনীয় সীমানায় বাইরে রেখে না করলে অনেক বড় রকমের ক্ষতির সম্মুক্ষিন হতে পারে বলে মনে করছেন এবং অচিরেই এর রোধ কল্পে ব্যাবস্থা গ্রহন করা উচিৎ বলে প্রতিবেদককে জানান।
এবিষয়ে রাংগাবালী ( ভারপ্রাপ্ত) ও গলাচিপা সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অঞ্জন বিশ্বাস এর কাছে, অপরিকল্পিত এবং অবাদে বিভিন্ন জাতের রেনু পোনা ধ্বংস করে, শুটি পল্লি'র গঠনের সরকারি কোন অনুমতি আছে কিনা, ইত্যাদি বিষয়ে জানতে চাইলে, তিনি সুকৌশলে তা এরিয়ে জান। স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, মৎস্য কর্মকর্তা অঞ্জন বিশ্বাস জেলেদের কাছ থেকে মোটা অংকের মাসহারা নিয়ে শুটকি ব্যবসায়ীদের মদত দিচ্ছেন। অন্যদিকে পটুয়াখালী জেলার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ কর্মকর্তা অজিত কুমার রুদ্র এর সাথে কথা বলতে চাইলে তা সম্ভব হয়নি। চরমোন্তাজ ইউনিয়ন বাসিদের দাবি, অতিদ্রুত অবৈধ শুটকি পল্লি উচ্ছেদ করে দেশের রুপালী সম্পদ রক্ষা করে উপকুল বাসিদের সাস্থ্য হুমকি থেকে রক্ষায় এগিয়ে আসবেন এটাই জনসাধারণের প্রত্যাশা।
এবিএন/জিল্লুর রহমান জুয়েল/জসিম/তোহা