![চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের এক্স-রে মেশিন দীর্ঘদিন বন্ধ](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2017/12/08/bagerhat_abnews24_114212.jpg)
বাগেরহাট, ০৮ ডিসেম্বর, এবিনিউজ : বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কেন্দ্রে দীর্ঘদিন ধরে টেকনিশায়ান না থাকায় অত্যাধুনিক এক্স-রে মেশিনটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সেই সাথে চরম ভোগান্তি শিকার হচ্ছেন সাধারণ নীরিহ মানুষ। প্রতিদিন এখানে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত মূল্যে প্রাইভেট ক্লিনিক- ডায়গনষ্টিক সেন্টার থেকে এক্স-রে করাতে হচ্ছে। অনেকেই আবার চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে বাড়ি ফিরছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় প্রায় দু’লাখ মানুষের বসবাস।
আর অধিকাংশ মানুষের চিকিৎসা সেবার জন্য চিতলমারী উপজেলার ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপর নির্ভর করতে হয়। অথচ হাসপাতালের এক্স-রে রুমে অত্যাধুনিক মেশিনটি দীর্ঘদিন ধরে তালাবদ্ধ অবস্থায় অবস্থায় রয়েছে। টেকনিশয়ান না থাকায় এক্স-রে মেশিনটি নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এখানে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের চিকিৎসকরা এক্স-রে করার জন্য বিভিন্ন প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে পাঠাচ্ছেন। তাই চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে অনেকেই বাড়ি ফিরছেন বলে ভূক্তভোগীরা জানিয়েছেন।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে এক চিকিৎসক জানান, দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে টেকনিশয়ান না থাকায় তারা বাধ্য হয়েই রোগীদের এক্স-রে করার জন্য বাইরের বিভিন্ন ক্লিনিক-ডায়গনষ্টিক সেন্টারে পাঠাচ্ছেন। চিকিৎসা নিতে আসা কয়েকজন রোগী জানান, হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগে অন্যান্য পরীক্ষা করার ব্যবস্থা থাকলেও এক্স-রে করার জন্য বাধ্য হয়ে তাদের বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিক-ডায়গনিষ্টিক সেন্টারে অতিরিক্ত মূল্য দিয়ে এক্স-রে করাতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলমগীর জানান, দীর্ঘদিন যাবত হাসপাতালের এক্স-রে মেশিনটি বিকল ছিল। গত কয়েক মাস আগে মেশিনটি ঠিক করা হলেও টেকনিশিয়ান না থাকায় এক্স-রে করা সম্ভব হচ্ছে না। অকেজো অবস্থায় পড়ে থাকার কারণে মেশিনটি নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
তবে বাগেরহাট জেলা সিভিল সার্জন ডা. অরুণ কুমার মন্ডল জানান, চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে টেকনিশিয়ানের অভাবে এক্স-রে মেশিনটি বন্ধ রয়েছে। এ বিষয়টি স্বাস্থ্য বিভাগকে জানানো হয়েছে।
এবিএন/এস.এস সাগর/জসিম/তোহা