![কয়রায় বৃষ্টিতে পাকা আমন ফসলের ক্ষতি](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2017/12/09/khulna_abnews24 copy_114408.jpg)
কয়রা (খুলনা), ০৯ ডিসেম্বর, এবিনিউজ : নিম্নচাপের প্রভাবে গতকাল দিনভর গুড়িগুড়ি ও মাঝারি বৃষ্টিতে সুন্দরবন উপকূলীয় জনপদ কয়রায় পাকা আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। গত দুই দিনে হঠাৎ আবহাওয়া প্রতিকুল হয়ে ওঠায় আকাশ মেঘমালায় পরিপূর্ণ হয়ে যায়। গত ০৮ ডিসেম্বর মধ্যরাত থেকে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়ে গতকাল দিনভর বৃষ্টি অব্যাহত থাকে। ফলে কৃষকদের আমন ফসলের পাকা ধানের মাঠগুলো বৃষ্টির পানি জমে সিক্ত হয়ে গেছে। অনেক কৃষকের সদ্য কাটা ধান ক্ষেতে পড়ে থাকায় সেগুলো পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।
বৃষ্টির মধ্যে কৃষকরা মাঠে গিয়ে ধান কাটতে পারছে না এমনকি কাটা ধানগুলো ক্ষেত থেকে তুলে নিতে পারছে না। একই অবস্থার মধ্যে পড়েছে রবিশষ্য চাষের ক্ষেত খামাারগুলোর মালিকরা। আমন কাটার পরপরই কৃষকরা ট্রাকটর দিয়ে ক্ষেত চাষ করে সরিষা, আলু, তিল, গম বুনে থাকে। কিন্তু নি¤œচাপে বৃষ্টির পরিমান বেশী হওয়ায় রবিশষ্যের চাষে চরমভাবে বিঘœ ঘটেছে। ডিসেম্বর মাসের প্রথমার্ধ চলে যাওয়ায় সরিষা সহ রবি ফসল বোনার সময় প্রায় শেষ পর্যায়ে। তারপর অসময়ে পরিমান অতিরিক্ত বৃষ্টি হওয়ায় রবি ফসলের চাষাবাদের সময় আরো কমপক্ষে ১৫ দিন পিছিয়ে যাওয়ায় চাষীদের মাঝে হতাশা দেখা দিয়েছে।
উপজেলার ৬নং কয়রা গ্রামের বর্গা চাষী আব্দুল জলিল গাজী জানিয়েছেন ৫দিন আগে ৬ বিঘা জমিতে ধান কেটে শুকানোর জন্য ফসলের মাঠে রাখা ছিল। গতকাল মাঠ থেকে ধান তুলে মহাজনের খামারে নিয়ে যাওয়ার কথা থাকলে তা বৃষ্টির কারনে সম্ভব হয়নি। এ অবস্থায় ধানগুলো ক্ষেতে পড়ে নষ্ট হওয়ার আশংকা করছেন ঐ কৃষক। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ৫নং কয়রা, ৩নং কয়রা, ২নং কয়রা, গোবরা, মহারাজপুর, কালনা, উত্তর বেদকাশি, কাঠমারচর, জোড়শিং এলাকার পাকা আমন ধানের ক্ষেতগুলোয় বৃষ্টির পানি জমে কৃষকের ধান কাটতে বাঁধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। কৃষকরা জানিয়েছেন ঘরে ফসল ওঠানোর চুড়ান্ত মুহুর্তে নি¤œচাপের কারনে অধিক বৃষ্টি পড়ায় তাদের ধান কাটা পিছিয়ে যাবে। এতে কৃষকদের পাকা ধানে মই দেয়ার মতো অবস্থা দাঁড়াবে।
দক্ষিন বেদকাশি ইউপি চেয়ারম্যান জিএম শামছুর রহমান বলেন, আইলার পর চার বছর এলাকার মানুষ লোনা পানির কারনে ফসলের চাষাবাদ করতে পারেনি। গত দু’বছর ধান করছে কিন্তু এ বছর ফসল কাটার সময় হঠাৎ নিম্পচাপ সৃষ্টি হয়ে একটানা বৃষ্টিতে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসল ঠিকমতো ঘরে তুলতে পারবে না।
এবিএন/শহিদুল্লাহ শাহিন/জসিম/তোহা