![চিতলমারীতে কোটি টাকার ওয়াটার সাপ্লাই প্রকল্প বিফলে](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2017/12/09/water_abnews_114471.jpg)
বাগেরহাট, ০৯ ডিসেম্বর, এবিনিউজ : ‘প্রতি বছর শুকনো মৌসুমে বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলায় বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দেখা দেয়। সাধারন মানুষ সুপেয় পানির জন্য এক প্রকার হাহাকার করেন। মেয়ে ও গৃহবধূরা সকাল-সন্ধ্যা কলসি নিয়ে ছোটাছুটি করেন দূর-দুরান্তে। অথচ এ কষ্ট লাঘবের জন্য কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ওয়াটার সাপ্লাই প্রকল্প আজ বিফলে।’
আজ শনিবার বিকেলে ব্রক্ষ্মগাতি স্কুল মাঠে বসে কথা গুলো বলছিলেন কৃষক মাখন লাল মন্ডল।
তিনি আরও জানান, বিশুদ্ধ পানির বিষয়টি বিবেচনা করে ২০১১-২০১২ সালে উপজেলার চরবানিয়ারী ইউনিয়ন পরিষদের সামনে অস্ট্রেলিয়া ও ডেনমার্কের আর্থিক সহযোগিতায় এবং স্থানীয় সরকার অধিদপ্তর কর্তৃক হাইসাওয়া-অসএইড প্রকল্প’র পরিচালনায় স্থাপিত হয় চরবানিয়ারী পাইপ ওয়াটার সাপ্লাই প্রকল্প। যার নির্মান ব্যয় ছিল প্রায় এক কোটি টাকা। দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর পাইপ লাইনের পানি পৌছে যায় অত্র ইউনিয়নের কিছু এলাকায়। ময়লা ও আয়রণ থাকা সত্ত্বেও বাধ্য হয়ে মানুষ এ পানি ব্যবহার করেছে। কিন্তু কিছুদিন পর পানি সরবারহ একেবারে বন্ধ হয়ে যায়। আবারও শুরু হয় পানির জন্য মানুষের হাহাকার।
স্থানীয় বাসিন্দা প্রতাপ মন্ডল, রমেশ তরফদার, বিকাশ বালা, কৃষ্ণ পোদ্দার ও সুবাস শিকদারসহ অসংখ্য গ্রাহক অভিযোগ করে জানান, ওই পাইপ ওয়াটার সাপ্লাই প্রকল্প মানুষের কোন কাজেই আসছেনা। এ অঞ্চলের মানুষের পানির কষ্ট রয়েই গেল।
এ ব্যাপারে স্কুল শিক্ষক ও স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ সাফায়েত হোসেন জানান, প্রকল্পটি ইজারা অথবা ভাড়ার মাধ্যমে পাবলিক পর্যায়ে চালু রাখলে কোটি টাকার এ সম্পদ নষ্ট হত না।
তবে চরবানিয়ারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অশোক কুমার বড়াল জানান, অস্ট্রেলিয়া ও ডেনমার্কের আর্থিক সহযোগিতায় এবং স্থানীয় সরকার অধিদপ্তর কর্তৃক হাইসাওয়া-অসএইড প্রকল্প’র পরিচালনায় স্থাপিত হয় চরবানিয়ারী পাইপ ওয়াটার সাপ্লাই প্রকল্প।
আর নির্মাণ ব্যয় ছিল প্রায় এক কোটি টাকা। তৎকালীন (সাবেক) চেয়ারম্যান মুকুল কৃষ্ণ মন্ডলের কাছে এর হিসাব চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দেন না। তারপর বিষয়টি পরিষদের বিবেচনায় রয়েছে বলে তিনি জানান।
এবিএন/এস এস সাগর/জসিম/এমসি