জয়পুরহাট, ১৪ ডিসেম্বর, এবিনিউজ : পাক-হানাদারদের পরাজিত করে ৭১’এর ১৪ ডিসেম্বর বিকেলে লাল সবুজের পতাকা উড়িয়ে হানাদার মুক্ত ঘোষণা করা হয় জয়পুরহাটকে। স্বাধীনতার চার দশক পেরিয়ে গেলেও এখানকার অনেক শহীদ পরিবারই এখনো পায়নি কোন সরকারী সহযোগতিা। তাই এই হানাদারমুক্ত দিবসে শহীদ পরিবারগুলোকে সরকরী সহযোগীতার পাশাপাশি দেশকে যুদ্ধাপরাধী মুক্ত করার দাবি মুক্তিযোদ্ধাদের।
৭১’ এর ২৪ এপ্রিল পাক হানাদাররা বগুড়ার সান্তাহার থেকে ট্রেনযোগে এসে দখলে নেয় জয়পুরহাট। ২৫এপ্রিল থেকে শুরু করে অগ্নি সংযোগ, লুটপাট, হত্যাযজ্ঞ। ২৬ এপ্রিল দেশীয় দোসরদের সহযোগীতায় কড়ই কাদিপুরে হত্যাকরা হয় ৩শ’ ৭১ জন হিন্দু নিরীহ গ্রাম বাসীকে। ১৮ জুন শুক্রবার জেলার পাগলা দেওয়ানে জুম্মার নামাজ থেকে ধরে এনে হত্যা করা হয় ১৮ জন নীরিহ গ্রামবাসীকে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন বিভিন্ন সময়ে এ গ্রামে হত্যা করা হয় আরও প্রায় ১০ হাজার স্বরনার্থীকে। এছাড়াও আক্কেলপুরসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে নির্বিচারে হত্যা করা হয় হাজার হাজার মুক্তিকামী বাঙ্গালীকে।
স্বাধীনতার চার দশক পেরিয়ে গেলেও এখানকার অনেক শহীদ পরিবারই এখনো পায়নি কোন সরকারী সহযোগিতা। তাই সরকারী সহযোগীতার দাবি শহীদ পরিবারের সদস্যদের। নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে ধন সম্পদ লুট আর জমি দখল করে নেয়া রাজাকারদের বিচারের পাশাপাশি শহীদ পরিবারগুলোকে সহযোগীতা করার দাবি জানিয়েছেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আমজাদ হোসেন।
দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে পাক-হানাদারদের পরাজিত করে ১৪ ডিসেম্বর বিকেলে ডাকবাংলো মাঠে লাল সবুজের পতাকা উড়িয়ে হানাদার মুক্ত স্বাধীন ঘোষণা করা হয় জয়পুরহাটকে।
এবিএন/এরশাদুল বারী তুষার/জসিম/এমসি