শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১
logo
  • হোম
  • সারাদেশ
  • বীরমুক্তিযোদ্ধা আবুলের গার্ড অব অনার এবং বীর খেতাব বর্জন

বীরমুক্তিযোদ্ধা আবুলের গার্ড অব অনার এবং বীর খেতাব বর্জন

বীরমুক্তিযোদ্ধা আবুলের গার্ড অব অনার এবং বীর খেতাব বর্জন

জামালপুর, ১৪ ডিসেম্বর, এবিনিউজ : জামালপুরের মেলান্দহের বীরমুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন তাঁর বীর খেতাব এবং মৃত্যুর পর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন বর্জন করেছেন। ১২ ডিসেম্বর আবুল হোসেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে স্মারকলিপিতে এ কথা জানান।

স্মারকলিপিতে তিনি উল্লেখ করেছেন- মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান-মর্যাদাকে যথাযথভাবে রক্ষা করা যাচ্ছে না। কারণ হিসেবে তিনি লিখেন-প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার তালিকা প্রস্তুতের জন্য সরকার প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছেন। কোনভাবেই যেন অমুক্তিযোদ্ধা-মুক্তিযোদ্ধা হতে নাপারে। কিন্তু দু:খের বিষয় হচ্ছে, রাজনৈতিক প্রভাবসহ এক শ্রেণির প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা অর্থের বিনিময়ে অবৈধপথে চুক্তিভিত্তিক সাক্ষ্য-প্রমাণ দিয়ে অমুক্তিযোদ্ধাদের-মুক্তিযোদ্ধা বানাচ্ছেন। এতে শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মা, মুক্তিযোদ্ধাদের গর্বিত উপাধি বীরের প্রতি অশ্রদ্ধা প্রদর্শণ, অপব্যাবহার এবং মৃত্যুর পর রাষ্ট্রীয় মর্যাদার ভাগিদার করা হচ্ছে ভূয়ামুক্তিযোদ্ধাদের। যা তিনি সহ্য করতে পারছেন না।

এতেই শেষ নয়, প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার কোটা-সন্তান-নাতি-পুতির কোটাও দখল করে চলেছে ভুয়াদের লোকেরা। যা কাম্য হতে পারে না। জামুকা এবং মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়েও অসৎ উপায়ে ভূয়ামুক্তিযোদ্ধার পাল্লা ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে। সারাদেশ থেকে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতেও ভুয়ামুক্তিযোদ্ধা বানানোর পথ ঠেকানো যাচ্ছে না। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা এখন ভূয়ামুক্তিযোদ্ধাদের শাসন-শোষণের শিকার হচ্ছেন। অবশেষে মৃত্যুর পরও এই ভূয়ামুক্তিযোদ্ধারা গার্ড অব অনারে ভাগিদার হতে যাচ্ছে। এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পর্কে নানা সমালোচনা চলছে। অপ্রিয় হলেও সত্য, বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধার নাম শুনলেই চুক্তিযোদ্ধা বলেও উপহাস করছেন। যা একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিবেকের তাড়নায় স্বেচ্ছায়-স্বপ্রণোদিত হয়ে প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে তিনি বীর উপাধি এবং মৃত্যুর পর গার্ড অব অনার বর্জনের সিদ্ধান্ত নেন।

এ ব্যাপারে ইউএনও তামীম আল ইয়ামিন জানান-এই ধরণের এক আবেদন পেয়েছি। মুক্তিযোদ্ধারা এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। আবুল সাহেবের মনে হয়ত কোন অভিমান বা ক্ষোভে একাজটি করেছেন। কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

এবিএন/শাহ্ জামাল/জসিম/নির্ঝর

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত