![কালিয়াকৈরে কারখানায় সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত ২](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2017/12/18/abnews-24.bbbbbbbbbbbbbbbbb_115893.jpg)
গাজীপুর, ১৮ ডিসেম্বর, এবিনিউজ : গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার জামালপুর এলাকায় এফএস কসমেটিক্স লিমিটেড কারখানায় সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় আগুনে দগ্ধ আরও দুই নারী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাদের। এ নিয়ে আগুন লাগার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাড়ালো ৪ জনে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে ১৩ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আগুনের ঘটনা ঘটে। এ সময় কারখানায় কর্মরত গুরুতর ৬জনসহ ১১ শ্রমিক দগ্ধ হন। ওই দিন হাসপাতালে শেফালী আক্তার (৩০) নামের এক নারী শ্রমিক নিহত হয়।
আহদের হাসপাতালে ভর্তির ৫ দিন পর সোমবার ভোরে নাজনীন বেগম (২৬) ও ইসমত আরা (৩০) নামের আরো দুই নারী এবং গতকাল রবিবার রাতে আব্দুর রহিম নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়। নিহত নাজনীন উপজেলার কুয়ারচালা বারেক মার্কেট এলাকার নিহত আ. রহিম এর স্ত্রী ও ইসমত আরা উপজেলার ঠাকুরপাড়া এলাকার ফরমান আলীর মেয়ে। এ ঘটনায় গাজীপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামকে প্রধান করে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। ওই তদন্ত কমিটিকে আগামী ৭ কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট গাজীপুর জেলা প্রশাসনকে দেয়ার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, রোববার রাত সাড়ে তিনটার দিকে নাজনীন বেগম ও সোমবার সকাল ৭টার দিকে ইসমত আরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এর আগে দগ্ধ শেফালী বেগম ঘটনার পরদিন গত বুধবার সকালে মারা যান। কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, গত মঙ্গলবার বিকেলে জামালপুর এলাকায় এফএস কসমেটিক্স লিমিটেড কারখানায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আগুনের ঘটনা ঘটে।
ফায়ার সার্ভিসের কালিয়াকৈর ও জয়দেবপুর স্টেশনের চারটি ইউনিটের কর্মীরা রাত সোয়া ৭টার দিকে আগুন নেভায়। ওই আগুনে কারখানার ব্যবস্থাপক জাকির হোসেন (৩৮), মোসাম্মত নাজনীন বেগম (২৬), তার স্বামী আব্দুর রহিম (৩২), শেফালী বেগম (৩৬), শিল্পী রাণী (২৮), লিটন মিয়া (৩৫) ও সুমন মিয়াসহ (৩০) অন্তত ১০ শ্রমিক দগ্ধ হন। পরে তাদের মধ্যে আটজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল।
এবিএন/আলমগীর হোসেন/জসিম/তোহা