![কুমারখালী-খোকসার বিভিন্ন সড়কের বেহাল দশা](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2017/12/21/kumarkhali-road_116273.jpg)
কুমারখালী, ২১ ডিসেম্বর, এবিনিউজ : কর্তৃপক্ষের চরম অবহেলা ও উদাসীনতায় এক যুগেরও অধিক সময় রক্ষণাবেক্ষণ ও সংষ্কার করা হয়নি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার ভাঁড়রা বাজার থেকে লাহিনী মোড় পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটা রাস্তা ও খোকসার উপজেলার সান্দিয়ারা থেকে হিজলাবট সড়কের ৫ কিলোমিটারের অংশ। ফলে রাস্তাটিতে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য খানা খন্দ এবং মাঝে মাঝে তৈরী হয়েছে বিশাল বড় বড় গর্ত। আবার কোথাও কোথাও উঠে গেছে রাস্তার পিচ ঢালাই। এছাড়াও দীর্ঘ সময় তদারকির অভাবে রাস্তার দুই পার ভেঙে ও ফেটে গেছে। রাস্তাটির বেহাল দশায় প্রায়ই ঘটে সড়ক দুর্ঘটনা এবং এতে ভোগান্তিতে দক্ষিণ অঞ্চলের প্রায় ২ লক্ষাধিক মানুষ।
প্রায়ই দেখা যায় নছিমন, করিমন, সিএনজি, অটো, অটো ভ্যান, হিউম্যান হলার, বাস, ট্রাক, কৃষি যানবাহনসহ বিভিন্ন প্রকার যানবাহন উল্টে-পাল্টে-ভেঙে যায়। রাস্তা দিয়ে চলাচল অন্তত ঝুঁকি ও অচল হয়ে পড়েছে । তবুও নিত্যদিনের প্রয়োজন মেটাতে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই যাতায়াত করছে মানুষ।
বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে এমন চিত্রই লক্ষ করা যায়। এ বিষয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, ২০০৪ সালে রাস্তাটি পাকাকরণের পর আর কোন সংস্কার না করায় বর্তমানে বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। ফলে রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে মানুষ ।নস্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাস্তাটি দিয়ে চাপড়া, বাগুলাট, যদুবয়রা, পান্টি ও খোকসা উপজেলার ওসমানপুর এই পাঁচটি ইউনিয়নের মানুষের যাতায়াত।এই ৫ ইউনিয়নের মানুষের জেলা শহর, বিভাগীয় শহর ও রাজধানী শহরের যাতায়াতের এক মাত্র ব্যস্ততম সড়ক এটি ।
প্রতিদিন প্রায় হাজার হাজার যানবাহন ও মানুষের চলাচল। এছাড়াও এই রাস্তা দিয়েই ইসলামী ইউনিভার্সিটি, কুষ্টিয়া সরকারী কলেজ, সরকারী মহিলা কলেজ, সরকারী পলিটেকনিক, টেকনিক্যাল কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষিকা, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের একমাত্র প্রধান রাস্তা এটি। কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতাল ও কোর্টে যোগাযোগের প্রধান রাস্তাও এটি।
এই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, এই রাস্তাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, ব্যস্ততম ও প্রধান সড়ক হওয়ায় বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। বর্তমানে রাস্তাটি সংস্কার করা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। এই রাস্তায় চলাচলকারী অটো ড্রাইভার আনিস কুষ্টিয়ার সময়কে বলেন, খানা খন্দে ভরা রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছি আমরা। মাঝে মাঝে গর্তে পরে আমাদের অটো গাড়ি উল্টে ভেঙে যায় ।
তিনি আরো বলেন, ১০ মিনিটের পথ পাড়ি দিতে আমাদের ৪০ থেকে ৫০ মিনিট সময় লাগে। আনিস বলেন একজন অসুস্থ ব্যক্তি আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে এই রাস্তা দিয়ে চলাচলের সময়। এছাড়াও একজন গর্ভবতী মহিলা অত্যন্ত মারাত্মক জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে। এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি সংস্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে কুমারখালী উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ আব্দুর সামাদ চরম দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে কুষ্টিয়ার সময়কে বলেন, চলতি অর্থ বছরে রাস্তাটি সংস্কার ও পুণ:নির্মাণে আশ্বস্ত করেন । রাস্তাটির সংস্কারের ব্যয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই মুহূর্তে কিছু বলা যাচ্ছে না, তবে প্রতি কিলোমিটার ৪০ লক্ষ করে টাকা ব্যয় হতে পারে।
এবিএন/মিজানুর রহমান নয়ন/জসিম/নির্ঝর