![মিথ্যা মামলা ও পুলিশি হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2017/12/21/vv_116355.jpg)
খোকসা (কুষ্টিয়া), ২১ ডিসেম্বর, এবিনিউজ : সাফিন হত্যাকান্ডের প্রকৃত কারণ উদঘাটনের দাবীতে এবং এ ঘটনার প্রেক্ষিতে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভূক্তভোগী পরিবার। আজ বৃহস্পতিবার খোকসা উপজেলার ভবানীগঞ্জ বাজারে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। আমবাড়ীয়া ইউনিয়নের বার বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান আঃসাত্তার মোল্লাকে জরিয়ে একটি স্বার্থান্বেষী মহল প্রতিহিংসা পরায়ন ও সাফিন হত্যাকান্ডকে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করার জন্য মিথ্যা হয়রানি করছে বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সাফিন খাঁন একজন বালু ব্যবসায়ী ছিলেন। আর এ ধরনের ব্যবসার সাথে নদী-চর, পেশী শক্তি, অবৈধ অস্ত্র-শস্ত্র, সন্ত্রাসী তৎপরতা ইত্যাদি বিষয়ের যেমন প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ সম্পর্ক থাকে, তেমনি থাকে নানান ধরনের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট পক্ষ-বিপক্ষ। দেশের যেখানেই এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে সেখানেই দেখা গেছে আধিপত্য ও অন্তর্কলহের জেরে এ জাতীয় খুনাখুনি হয়ে থাকে। আর এ হত্যাকান্ডের পেছনেও তেমনি কোন অন্তর্কলহ বা প্রতিপক্ষের আধিপত্যের বিষয় কারণ হিসাবে থাকতে পারে।
এ ঘটনায় পাংশা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলার এজাহারে বলা হয়- এ হত্যাকান্ডের পেছনে আমবাড়ীয়া ইউনিয়নের নির্বাচিত চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার মোল্লা, তার ছেলে রাজীব, ভাতিজা আরিফ এবং ভাগনে নয়ন ও সুমন এর হাত থাকতে পারে বলে তারা মনে করেন। অথচ এরা কেউই বালু ব্যবসাসহ এধরনের অবৈধ কর্মকান্ডের সাথে জড়িত নন, এর আগে এদের বিরুদ্ধে কোন মামলা-মোকদ্দমা নেই।
এমতাবস্থায়, সাফিন হত্যাকান্ডের সুযোগে একটি চক্রটি ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে । আর তাদের এই অপচেষ্টার অংশ হিসেবে সাফিনের পরিবার ও পুলিশের একটি অংশের বিভ্রান্তিকর আচরণের ফলে একদিকে যেমন খুনের প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান ও প্রকৃত খুনীদেরকে আড়াল করার সুযোগ তৈরী হচ্ছে, অন্যদিকে তেমনি সাত্তার মোল্লা ও নয়ন এবং তাদের পরিবার-পরিজন ও আত্মীয়-স্বজনকে হয়রানি ও সুনামহানির শিকার হতে হচ্ছে।
সাফিনের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন রাত ৮ টার পর থেকে সাফিনকে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। কিন্তু, ঐদিন চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার মোল্লা, রাজীব, আরিফ, নয়ন ও সুমন- সকলেই রাত ১২টা পর্যন্ত বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে সেনগ্রাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে আয়োজিত কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন যার প্রত্যক্ষ সাক্ষী আমবাড়ীয়া, জয়েন্তীহাজরা ও পাশ্ববর্তী বাহাদুরপুর ইউনিয়নের কয়েকশত লোক। অথচ এ ঘটনার প্রেক্ষিতে, অজ্ঞাত কারণে প্রভাবিত হয়ে পাংশা থানার পুলিশ এলাকার নিরীহ সাধারণ জনগণকে গ্রেফতার ও হয়রানি অব্যাহত রেখেছে। পুলিশের ভয়ে এলাকার অনেক মানুষ ঘরে থাকতে পারছেন না, করতে পারছেন না তাদের স্বাভাবিক পেশাগত ও পারিবারিক কাজকর্ম। ফলে, একদিকে যেমন তাদের সম্মানহানি ঘটছে অন্যদিকে তাদের পরিবার-পরিজনকে আর্থিক-মানসিক-সামাজিক সমস্যার সম্মুখিন হতে হচ্ছে।
সাফিন হত্যাকান্ডের প্রকৃত কারণ উদঘাটন, প্রকৃত খুনীদেরকে চিহ্নিতকরণসহ নিরপরাধ সাত্তার মোল্লা, রাজীব, আরিফ, নয়ন ও সুমন এর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও হয়রানির উদ্দেশ্যে মিথ্যা মামলা দায়েরের অপতৎপরতা বন্ধে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন।
এবিএন/আলিফ উল হক/জসিম/রাজ্জাক