![অভয়নগরে জয়িতা অন্বেষণে সম্মাননা পত্র ও ক্রেস্ট প্রদান](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2017/12/22/avaynagar-joyata_116412.jpg)
অভয়নগর (যশোর) , ২২ ডিসেম্বর, এবিনিউজ : আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পালন উপলক্ষ্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দেশব্যাপি পরিচালিত “জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ” শীর্ষক কার্যক্রমের আওতায় অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জন করেন অভয়নগর উপজেলার সুন্দলী ইউনিয়নের হোটেল ব্যবসায়ী মিতা সুইটস-এর স্বত্ত্বাধিকারী রীতা রায়।
উপজেলার সভাকক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম.এম. মাহমুদুর রহমান-এর সভাপতিত্বে অভয়নগরের শ্রেষ্ঠ ৫জন মহিলাকে জয়িতা অন্বেষণে সম্মাননা পত্র ও ক্রেস্ট প্রদান করে। অভয়নগরের সমগ্র হোটেল মালিকদের মাধ্য থেকে উদ্যোক্তা হিসেবে একমাত্র রীতা রায়-ই এই সম্মাননা পান।
অর্থনৈতিক সাফল্য অর্জনকারী রীতা রায় অভয়নগরের সুন্দলী ইউনিয়নের ফুলেরগাতী গ্রামের এক দরিদ্র পিতার অভাব অনটনের সংসারে বড় হয়ে উঠে। পরিবারের অভাব থাকায় ছোট বেলায় বিয়ের পিড়িতে বসতে হয় তাকে। বিয়ের কিছুদিন পরেই শ^শুর বাড়ি ছেড়ে স্বামীকে নিয়ে বাবার বাড়ি আশ্রয় নেয় রীতা রায়। কোনো রকমে বাবার সাথে থেকে কষ্টে চলছিল তাদের সংসার। আয় রোজগারের কোনো উপায় না থাকায় সুন্দলী গ্রামের বীরেন্দ্রনাথ বিশ^াসের ছেলে সত্য বিশ^াসের কাছ থেকে ৫০ টাকা ধার নিয়ে সুন্দলী বাজারে প্রায় ১৬/১৭বছর আগে সিংগাড়া, পিয়াজির দোকান দেন।
এসময় তারা এলাকার বিভিন্ন অনুষ্ঠানাদিতে সিংগাড়া, পিয়াজির ভ্রাম্যমান দোকন দিতে থাকে। ধীরে ধীরে আয় বাড়তে থকে। এক পর্যায়ে দোকানে প্রসার ঘটাতে সিংগাড়া, পিয়াজির পাশাপাশি মিষ্টি তৈরীর কাজও শুরু করে। দোকানের আয় আরও বাড়তে থাকে ফলে বড় পরিসরে জায়গা ভাড়া নিয়ে মিষ্টি, সিংগাড়া, পরটা ও ভাতের দোকান শুরু করে তারা।
এখন রীতা রায় স্বাবলম্বী এবং স্বামী সংসার নিয়ে সুখ স্বাচ্ছন্দে জীবন কাটাচ্ছেন। তার একমাত্র মেয়ে পরিনীকে সরকারী পলিটেকনিক ইনিস্টিটিউট যশোর-এ কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াচ্ছেন। রীতা রায়ের দোকানে এখন এলাকা থেকে ৪জন মহিলা ও ২ জন পুরুষ কাজ করে তাদের সংসার চালাচ্ছে। নিজের সাথে আরও ৬টি পরিবারের ভরণ পোষণের ব্যবস্থা করতে পেরে খুব খুশি রীতা রায়। তবে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা পেলে আরও বেশি লোক নিয়োগ করে কাজের পরিধী বাড়াতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করে এই মহিলা উদ্যোক্তা। প্রথম থেকে হোটেলের কাজে তার স্বামী হরিশচন্দ্র রায় সার্বক্ষণিক তাকে সাহায্য করে চলেছেন।
এবিএন/মো: সেলিম হোসেন/জসিম/নির্ঝর