মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২
logo
  • হোম
  • সারাদেশ
  • মণিরামপুরে নির্মিত হচ্ছে দেশের বৃহত্তম ভাসমান সেতু

মণিরামপুরে নির্মিত হচ্ছে দেশের বৃহত্তম ভাসমান সেতু

মণিরামপুরে নির্মিত হচ্ছে দেশের বৃহত্তম ভাসমান সেতু

যশোর, ২৩ ডিসেম্বর, এবিনিউজ : যশোরের মণিরামপুরে দেশজুড়ে খ্যাতনামা ঝাঁপা বাওড়ে নির্মিত হচ্ছে দেশের বৃহত্তম ভাসমান সেতু। স্বাধীনতার ৪৬ বছর পার হলেও বহত্তম ঝাঁপা গ্রামের ২০ হাজারেরও বেশি বাসিন্দাদের কষ্টের কথা ভাবেনি কোন জনপ্রতিনিধি। কিন্তু ঝাঁপা গ্রামের স্কুল শিক্ষক আসাদুজ্জামান নিজ উদ্যোগে কয়েক বছর ধরে জল্পনা কল্পনা করে ২০১৭ সালের গত ১৯ জানুয়ারী এলাকার কিছু যুবককে নিয়ে একটি মিটিং করে যাত্রা শুরু করেন। ধীরে ধীরে ৫৬ জন যুবক একত্রিত হয়ে নিজেদের অর্থ দিয়ে শুরুকরে অর্থায়ন।

মো.মেহেদী হাসান টুটুলকে সভাপতি মনোনিত করে গঠিত করেন সেতু বাস্তবায়ন কমিটি। অন্যান্য পদ শুরু হয় তারা হলেন- কমিটির সহসভাপতি আব্দুল কাদের, মো.লিটন সাধারণ সম্পাদক, মো.শাহাদাৎ হোসেন সহসাধারণ সম্পাদক, মো.মোশাররফ হোসেন কোষাদক্ষ, মো.শফিকুজ্জামান সাংগঠনিক সম্পাদক, মাওলানা নুরুল হক সদস্য, আবু মুছা সদস্য, আক্তারুজ্জামান সদস্য, শ্রী অসিম কুমার, সদস্য, আসাদুজ্জামান সদস্য করেই সেতু তৈরি বাস্তবায়ন করার প্রশাসনিক কাজের অগ্রযাত্র শুরু করা হয়। ২০ হাজারেরও বেশি মানুষের দুঃখ-দুর্দষার কথা ভেবেই সেচ্ছায় শ্রমে এই ৫৬ জন যুবকের ১৩০০ ফুট ভাসমান সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করেন চলতি বছরের আগষ্টের প্রথম সপ্তাহ থেকে।

সেতুটি ভাসমান রাখার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে তেলের প্লাষ্টিক ড্রাম। ১৩০০ ফুট সেতুর মধ্যে ভাসমান মূল সেতু ১০০০ ফুট এতে ব্যবহার করা হয়েছে ৮৩৯টি ড্রাম। ড্রামে যাতে পানি প্রবেশ করতে না পারে সেকারণে ড্রামের মুখে থ্রেট টেফ দিয়ে আটকানো হয়েছে। ফ্রেম তৈরি করা হয়েছে লোহার এঙ্গেল দিয়ে, ফ্রেমের দুই পাশে দুসারি ড্রাম দিয়ে পানিতে ভাসান হয়েছে সেতু। ড্রম সেট কারা হয়েছে লোহার পাত/প্লাটবার বাঁকিয়ে নাট দিয়ে যাতে ড্রাম গুলো কোন দিকে সরে না যেতে পারে। সেতুতে এঙ্গেল ও পাত ব্যবহার হয়েছে ২০ টন। পাটাতনের সিট ব্যবহার হয়েছে ১৩ টন।

উদ্যোক্তা আসাদুজ্জামান বলেন, এখন পর্যন্ত খরচ ৫০ লক্ষ প্লাস। তবে নির্মাণ শেষ হতে খরচ এসে দাড়াবে কোটি টাকার কাছাকাছি।

তিনি আরও বলেন ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারী সেতু উদ্বোধন করা হবে। তিনি যখন এই সেতুর বিষয়ে আলোচনা শুরু করেন তখন তাকে বিভিন্নভাবে ভৎসনা করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি সেদিকে কান না দিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন আজও।

তিনি বলেন, নৌকায় পারাপারে অনেক সময় ডুবে গিয়ে অনেক ছাত্রছাত্রী পরীক্ষাও দিতে না পেরে বছর লস হয়েছে। অনেক কৃষি পণ্য পার করতে গিয়ে ডুবে নষ্ট হয়। কেউ অসুস্থ হলে পার করতে সময়ের কারণে মৃত্যু হয়েছে। এ সমস্ত পরিস্থিতির থেকে পরিত্রাণ হবে বলে মনে করেন তিনি।

এলাকার সচেতন মহল বলছেন, আজ পর্যন্ত কোন জনপ্রতিনিধি ঝাঁপা গ্রামের মানুষের কথা ভাবেনি, নেয়নি কোন উদ্যোগ। ঝাঁপাবাসী স্বাধীন দেশের নাগরিক হয়েও মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত। তাই তারা নিজ উদ্যোগেই নির্মাণ করছে দেশের দীর্ঘতম তাদের স্বপ্নের ভাসমান সেতু।

এবিএন/মাইকেল/জসিম/এমসি

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত