কুমিল্লা, ২৩ ডিসেম্বর, এবিনিউজ : মুরাদনগর উপজেলার পীরকাশিমপুর গ্রামে পীরকাশিমপুর দরবার শরিফের আধিপত্ত বিস্তার ও খেলাফতকে কেন্দ্র করে। প্রতিপক্ষের হামলায় ১৫ জন আহত হবার অভিযোগ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে বাঙ্গরা বাজার থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় এলাকায় বেশ চাঞ্চেলের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরাবাজার থানার পীরকাশিমপুর গ্রামে পীরকাশিমপুর দরবার শরিফ (বড় হুজুরের) দরবারের, দরবারের খেলাফত ও আধিপত্ত বিস্তারকে কেন্দ্র করে, একই গ্রামের মরহুম হযরত খাজা শাহ মোহাম্মদ সামছুজ্জামান চিশতির পুত্র মো: জহিরুল আলম চিশতি (৬৫), শাহ আলশ চিশতি (৬২), নজরুল আলম চিশতি (৬০) সহ একটি সঙ্গবদ্ধ গ্রুপ সুপরিকল্পিতি ভাবে দরবারের খেলাত ও আধিপত্ত বিস্তারের লক্ষে শনিবার সকালে হামলা চালায়।
হামলায় বর্তমান গদ্দানিশি পীর কামরুজ্জামানা চিশতি এর মেয়ে তৈয়বা জামান (৩২), তাহেরা জামান (৩০), তামজিদা জামান (৩০) সহ ১৫ জন আহত হয়। খবর পেয়ে বাঙ্গরা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
আহত তাহেরা জামান জানান, আমার বাবা বর্তমান গদ্দানিশি পীর হযরত খাজা শাহ মোহাম্মদ কামরুজ্জামানা চিশতি বিগত ৫৫ বছর পূর্বে আমার দাদা তৎকালিক পীর মরহুম খাজা সামসুজ্জামান চিশতির কাছ থেকে খেলাপত পেয়ে এ যাবৎ দরবারের কাজ পরিচালনা করে আসছিলেন। কিন্তু এক বছর যাবৎ আমার বাবা অসুস্থ্য হবার পর থেকে আমার চাচারা মো: জহিরুল আলম চিশতি (৬৫), শাহ আলশ চিশতি (৬২), নজরুল আলম চিশতি (৬০) একটি চক্রকে সাথে নিয়ে দরবারের খেলাফত দাবী করে দরবারে সমস্থ্য সম্পদ দখলের লক্ষ্যে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কৌশলে নানান ষড়যন্ত্র করে আসছে।
তারই ধারাবাহিকতায় শনিবার সকালে দরবারের বাৎসরিক ওরষ চলাকালে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় আমরা আহত হই। এ হামলার কারণে দরবারের পরিবেশ বেশ উদ্ধেগ-উৎকন্ঠা চলছে। দরবারের ভক্তবর্গ অনেকেই ভয়-ভীতিতে আছেন।
তানজিদা জামান জানান, আমার চাচারা বর্তমানে আমাদেরকে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে জিম্মি করে রেখেছে।
জহিরুল আলম চিশতি জানান, উক্ত অভিযোগের বিষয়টি সত্য নয়। পারিবারিক ভাবে কিছু মতবিরোধ সৃষ্টি হয়েছে মাত্র।
বাঙ্গরা বাজার থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত মো: নাজমুল হুদা জানান, খবর পেয়ে আমরা থানা ভারপ্তপ্ত কর্মকর্তা সহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেছি। অভিযোগ পেয়ে অধিকতর তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এবিএন/শাকিল মোল্লা/জসিম/রাজ্জাক
© আবহমান বাংলা মিডিয়া লিমিটেড কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
