![তারাগঞ্জে ভেজাল বীজের সয়লাব, নেওয়া হচ্ছে বাড়তি টাকা](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2017/12/23/rongpur_116712.jpg)
তারাগঞ্জ (রংপুর), ২৩ ডিসেম্বর, এবিনিউজ : রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় চলতি বুরো মৌসুমে অনুমোদন বিহীন বীজের সয়লাব ও কৃষকের কাছ থেকে বাড়তি টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।জানা গেছে, উপজেলার বীজের ডিলার ও অনুমতি বিহীন কিছু সার কীটনাশক ব্যবসায়ি কৃষকের কাছ থেকে বীজের জন্য বাড়তি টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
চলতি বুরো মৌসুমে এবারে কৃষক ভাল ফলনের আশায় উন্নত বীজ সংগ্রহের জন্য বাজারে গেলে ঘটেছে ব্যতিক্রম ঘটনা। বিভিন্ন কোম্পানিগুলো নানা ধরনের নামধারি মোড়কে সাজানো বীজ বাজারে প্রতারনার ফাঁদ পেতেছে।আর এতে করে প্রতারনার স্বীকার হচ্ছে সাধারন মানুষ।প্রতিটি বীজের প্যাকেটের গায়ে কোম্পানির নির্ধারিত সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য দেয়া থাকলেও তা মানছে না ডিলার ও অসাধু ব্যবসায়িগণ।
কৃষকেরা অভিযোগ করে বলেন,এবারে বন্যা সহ নানা প্রাকৃতিক দুযোগে মারাত্বক ক্ষতির স্বীকার গ্রামের সহজ সরল দারিদ্র মানুষ।ধান আলু সহ নানা ফসলে ব্যপক লোকসান ও ক্ষয়ক্ষতির কবলে পরেছে দিন মজুরী কৃষক ও চাষী।ক্ষতি পুষিয়ে নিতে নতুন করে বুরো মৌসুমে আশার স্বপ্ন বুনে। তাতে আবার মৌসুমের শুরুতেই প্রতারণার স্বীকার হয় বীজ সংগহে ক্ষেত্রে। তারাগঞ্জ হাট বাজারও আশে পাশের বাজার গুলোতে অসাধু ব্যবসায়ির কবলে কৃষক ভেজাল বীজ সহ বাড়তি মূল্য নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বাহাগিলী ইউনিয়নের কদমতলি গ্রামের মোর্শেদুল ইসলাম বলেন,এবার তারাগঞ্জ বাজার থেকে ধান বীজ নিয়েছি। এক কেজি বীজ নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে এক’শ থেকে দেড়’শ টাকা বেশি দামে কিনতে হয়েছে।
চাঁদখানা ইউনিয়নের মাঝাপাড়া গ্রামের বাচ্চু মিয়া বলেন,হামার পাকে কায় দ্যাখে,আগাম আলুর বীজ নিচনু হীরা বীজ ভান্ডার থাকি, আলু গাজার আগোত পচি গেইছে।আর ধানের বেচোনের (বীজ) কতা কনে না বাবা ‘বারো মিশালী গাজায় না’ ফির গাজেয়া মরি যায়।অভিযোগ দিলে ক্ষতি পুরন তো দুরের কতা গালি দিয়া হুমকি দেয়-দেখার কায়ো নাই।
আলমপুর ইউনিয়নের ফাজিলপুর গ্রামের মুকুল মিয়া বলেন,ধান বীজ নিয়া মহা বিপদে আছি।দাম বেশি আবার গজায় না,কি হবে চলতি বুরো মৌসুমে।এ বছর বন্যায় যে ক্ষতি হয়েছে তার উপর বীজের সমস্যা।
ইকরচালী ইউনিয়নের দোহাজারী গ্রামের আলমগীর হোসেন বলেন,বীজের যেমন আনাচে কানাচে দোকান-তেমনি বীজ কম্পানি এটাই স্বাভাবিক ।আঞ্চলিক ভাষায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,“কার খবর কায় নেয় বাবা চৈত মাসোত বান”।
উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আতাউর রহমান বলেন,ঘটনাটি আমি জেনেছি।কৃষি বিভাগের সঠিক তদারকির অভাবে এমনটা হয়েছে বলে আমি মনে করি।এই ব্যবসায়িদের জরুরী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আইন শৃঙ্খলা মিটিংএ বিষয়টি তুলে ধরবো।
এ বিষয়ে কৃষি অফিসার রেজাউল করিম বলেন, দাম বেশি নেওয়ার কথা শুনেছি, চলতি বুরো মৌসুমে ধান বীজ সংকট থাকায় ডিলাররা অনিয়মের আশ্রয় নিতে পারে। তবে লিখিত কোন অভিযোগ পেলে আইনী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এবিএন/বিপ্লব হোসেন অপু/জসিম/রাজ্জাক