![ডিমলায় যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2017/12/26/nilfamari@abnews_117027.jpg)
ডিমলা (নীলফামারী) , ২৬ ডিসেম্বর, এবিনিউজ : নীলফামারী ডিমলা উপজেলায় ছাতনাই বালাপাড়া চাকদা বাঁশ গ্রামে যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় নারর্গিজ বেগম (২০) নামে এক গৃহবধূকে বেধড়ক পিটিয়েছেন তার স্বামী ও শাশুর, শাশুড়ি । নির্যাতনের স্বীকার ওই গৃহবধূ বর্তমানে ডিমলা উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
শুক্রবার দুপুরের ডিমলা উপজেলা হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, নির্যাতনের স্বীকার নারর্গিজ বেগম ব্যথার যন্ত্রণায় বেডে শুয়ে কাতরাচ্ছেন। তার মাখায় ও শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
অপর দিকে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় এ ঘটনা শুনে নারর্গিজের বাবা, মামা তহিদুল ইসলাম মহি,মো. বাচ্চা মিয়া, খালা মোছা. শেফালী বেগম, মামি মোছা. ছামিনা বেগম ও ভাই আনোয়ার ইসলাম নারর্গিজকে চিকিৎসার জন্য আনিতে তাহাদেরকেও বেধরক মারপিট করে গুরুত্বর আহত করে এবং পরে তাদের কে ঘরে আটকে রাখে।
উক্ত ঘটনার সংবাদ পায় নিজ সুন্দর খাতা বালাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আলেফনুর ইসলাম ও আজিজার রহমান তাদেরকে উদ্ধার করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।
শনিবার দুপুরে ওই গৃহবধূর বাবা মো. আব্দুর রশিদ বাদী হয়ে তিন জনের নাম উেেল্লখ করে ডিমলা থানায় একটি মেয়ে উদ্ধারের অভিযোগ দায়ের করেন। এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে ডিমলা উপজেলার ছাতনাই বালাপাড়া ইউনিয়নের (চাকদা বাঁশ) গ্রামে তার শ্বশুর বাড়িতে এ নির্যাতনের ঘটনটি ঘটে।
নির্যাতনের স্বীকার গৃহবধূ জেলার ডিমলা উপজেলার নিজ সুন্দর খাতা গ্রামের আব্দুর রশিদের মেয়ে নারর্গিজ বেগম।
অভিযুক্তরা হলেন, ডিমলা উপজেলার চাকদা বাঁশ গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে ও নির্যাতনের স্বীকার গৃহবধূর স্বামী সলেমান আলী, শাশুড়ি ছালমা বেগম এবং শশুড় নুর ইসলাম।
নারর্গিজের স্বামী সলেমান আলীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি জানান, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ। তবে আমি বাড়িতে থাকলে বেটাদের জবাই করে ফেলতাম। ভাগ্যভালে যে বেটারা কম মার খেয়েছে। কিন্তু ওনারা হাসপাতালে ভর্তি আছে এ ব্যাপারে সে কিছুই জানে না।
এ বিষয়ে ডিমলা থানা পুলিশের এসআই ফারুক ফিরোজ জানান, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি এবং মেয়েটিকে উদ্ধার করে ডিমলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে। তবে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এবিএন/বাদশা সেকেন্দার ভুট্টু/জসিম/নির্ঝর