
লক্ষ্মীপুর, ২৬ ডিসেম্বর, এবিনিউজ : লক্ষ্মীপুরে ট্রাফিক পুলিশের চাঁদাবাজির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে অটোরিক্সা শ্রমিকরা। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় পৌর শহরের তিন শতাধিক অটোরিক্সা মালিক ও শ্রমিক এ কর্মসূচী পালন করে। এ সময় চকবাজার এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে তারা।
শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কসমূহ প্রদক্ষিণ শেষে শ্রমিকরা লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের বাসভবনের সামনে গিয়ে সমবেত হয়। এরপর তারা ট্রাফিক পুলিশের চাঁদাবাজি ও নানামুখী হয়রানির কথা আওয়ামী লীগ নেতাকে অবহিত করেন।
বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের দাব, ট্রাফিক পুলিশ প্রতিমাসে অটোরিক্সা প্রতি ছয়শ টাকা নেয়। চলতি বছরের ডিসেম্বর মাস থেকে পৌরসভার নির্ধারিত আড়াই হাজার টাকা ফি দিয়ে লাইসেন্স করতে শুরু করেন অটোরিক্সা শ্রমিকরা। এরপর থেকে ট্রাফিক পুলিশকে টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেয় শ্রমিকরা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ট্রাফিক পুলিশ এমরান, ইব্রাহিম ও অন্যান্যরা অটোরিক্সা চালকদের নানাভাবে হয়রানি শুরু করে। কথায় কথায় মামলা দেয়, ব্যাটারি ও মটর খুলে নেয়, আবার অনেকের অভিযোগ হুমকি ধমকি দিয়ে অটোরিক্সা নিয়ে চলে যায় ট্রাফিক পুলিশ।
শ্রমিকরা আরও জানান, নিজাম ও সাদ্দাম নামে দুইজন প্রতিমাসে ৬শ টাকা করে সংগ্রহ করতো যখন, তখন ট্রাফিক পুলিশ এরকম হয়রানি করে নি। সম্প্রতি পৌরসভা থেকে লাইসেন্স সংগ্রহের জন্য ঘোষণা করা হলে ট্রাফিক পুলিশকে চাঁদা দেওয়া বন্ধ করে দেয় শ্রমিকরা। এরপর থেকেই ট্রাফিক পুলিশের নানামুখী হয়রানির সম্মুখিত হতে হয় অটোরিক্সা চালকদের।
এক পর্যায়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন এ সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সাথে শ্রমিকদের নিয়ে আলোচনা করবেন বলে আশ্বাস দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- পৌরসভার প্যানেল মেয়র কামাল উদ্দিন খোকন, কাউন্সিলর মোহাম্মদ আলী, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুল হাসান রনি, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এমবিএইচ বেলাল প্রমুখ।
এদিকে ট্রাফিক বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক মো. মামুন আল আমিন অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, শ্রমিকদের এ অভিযোগটি ভিত্তিহীন। তবে ট্রাফিক পুলিশের কোনো সদস্য জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
এবিএন/আবীর আকাশ/জসিম/এমসি