শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১
logo
বাংলাদেশ জুট কর্পোরেশন

ডোমারে ৫০ কোটি টাকার জমি বেদখল হওয়ার আশংকা

ডোমারে ৫০ কোটি টাকার জমি বেদখল হওয়ার আশংকা

নীলফামারী, ২৬ ডিসেম্বর, এবিনিউজ : নীলফামারীর ডোমারে বাংলাদেশ জুট কর্পোরেশনের (বিজেসি) সম্পত্তি পাট ব্যবসার জন্য বাৎসরিক ভিত্তিতে লীজ নিয়ে দোকান ঘড় ভাড়া দেওয়ার হিড়িক পরেছে।এতে সরকারী মালিকাধীন প্রায় ৫০ কোটি টাকার সম্পত্তি বেদখল হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।

জানা গেছে, বাংলাদেশ জুট কর্পোরেশনের নীলফামারীর ডোমার পৌরসভার অভ্যন্তরে অবস্থিত ০৩ নং ওয়ার্ডের কাচাঁ বাজার সংলগ্ন ২.২৭ একর ও পৌরসভা কার্যালয় সংলগ্ন বজরং লাল আগরওয়ালা নামীয় ১.৮৫ একর সম্পত্তি চলতি এক বছরের পাট ব্যবসা ও ফসল চাষের জন্য বাৎসরিক ভিত্তিতে লীজ দেওয়া হয়।

এরমধ্যে ডোমার পৌরসভা কার্যালয় সংলগ্ন বজরং লাল আগরওয়ালা নামীয় ১.৮৫ একর সম্পত্তি পাট ব্যবসা ও ফসলের জন্য নীলফামারীর আব্দুর রহমান ও তার ভাই জুবায়ের আল ইফাতকে এক বছরের ভিত্তিতে লীজ দেওয়া হয়। লীজ পাওয়র পর আব্দুর রহমান পাট গুদামের একাংশে দোকান ঘড় তৈরি করে মোটা অংকের অর্থ জামানত নিয়ে সরকারী সম্পত্তিতে দোকান ঘর ভাড়া দিয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে,তারা লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে দোকানদারকে দোকানঘর বরাদ্দ দিয়েছেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দোকানঘর বরাদ্দ পাওয়া হাফিজুর রহমানের ছেলে রকি (২৯)সহ প্রায় আটটি দোকানঘড় ভাড়া দেওয়া হয়েছে।

দোকানদার সাইদুর (২৫) জানায়,আগে ফুটপাতে দোকান ছিল এখন তাদের কাছে দোকান ঘড় ভাড়া নিয়ে পাটের গুদামের ভিতরে দোকান করে নিচ্ছি। কত টাকা দিয়ে এই জায়গায় দোকান তুলছেন প্রশ্ন করলে, তা প্রকাশ করতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি।

দোকানঘর নির্মানে তদারকি করছিলেন লীজ গ্রহীতা জুবায়ের আল ইফাত(২৯)। এ সময় তার সাথে কথা বললে তিনি জানান,এক বছরের জন্য লীজ নিয়েছি আমরা দুই ভাই। টাকা নিয়ে কোন সাব লীজ দেওয়া হচ্ছে না ।নতুন দোকান উঠছে কেন প্রশ্ন করলে তিনি জানান, ভাইসব জানেন।

এ ব্যাপারে আরেক লীজ গ্রহীতা ও তার ভাই আব্দুর রহমান দোকান নির্মানের বিষয়টি স্বীকার করলেও এখনও ভাড়া দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন।

ডোমার উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা উম্মে ফাতিমা জানান, লীজ নিয়ে কখনও সাব- লীজ দেওয়া যায়না।যদি কোন বিশেষ ক্লোজ না থাকে । বিজেসি আমার আওতাধীন নয়। তবে আপনারা সংবাদ প্রকাশ করলে বা অভিযোগ দিলে আমরা তাদের কাছে কাগজপত্র দেখার জন্য চাইতে পারি।

রংপুর বিজেসি আঞ্চলিক কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক রেজাইল ইসলাম মোবাইলে জানান, তারা নিজের কাজের জন্য অস্থায়ী স্থাপনা করতে পারে। যে কাজই করুক এক বছরের জন্য। ল্যান্ড ঠিক রাখবে। ব্যবহার তো একটা করবে।

সাব-লীজ দিয়ে দোকান বরাদ্ধ দিতে পারে কি-না প্রশ্ন করলে কৌশলে তা এড়িয়ে জানান, তারা তো কাগজে কলমে বরাদ্ধ দেখাবে না। দেখাবে নিজেরাই করছে। ফসল ও পাট ব্যবসার জন্য তারা লীজ নিয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

এবিএন/আব্দুল্লাহ আল মামুন/জসিম/এমসি

ad

প্রধান শিরোনাম

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত