![সুন্দরবনে চোরা শিকারী চক্র তৎপর](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2017/12/26/koyra_117129.jpg)
কয়রা (খুলনা), ২৬ ডিসেম্বর, এবিনিউজ : সুন্দরবনে সাম্প্রতিক সময়ে চোরা শিকারী চক্রের দৌরাত্ম বৃদ্ধি পেয়েছে। বনের মধ্যে ফাঁদ পেতে হরিণ শিকার করে মাংস বিক্রি করা তাদের মূল কাজ। ৩’শ টাকা কেজি দরে হরিণের মাংস বিক্রি করে এ চক্রগুলো আর্থিক ফায়দা লুটে নিতে তৎপর রয়েছে।
সুন্দরবন সংলগ্ন কয়রার জোড়শিং, পাথরখালি, ৪নং কয়রা, হায়াতখালি, তেতুলতলাচর, খোড়লকাটি, কালিবাড়ি, হড্ডা, দাকোপের সুতারখালি, কালাবগি, বাগেরহাটের শরণখোলা, চাঁদপাই, ধানসাগর, বানিশান্তা, মংলা, সাতক্ষীরার কৈখালি, কদমতলা, গাবুরার পারশেমারি, চাঁদনিমুখা, কলাগাছি, মুন্সিগঞ্জ এলাকার অর্ধশত চোরা শিকারী চক্র প্রায় সময় সুন্দরবনে ঢুকে ছিটিকল ও ফাঁদ পেতে হরিণ শিকার করছে। এদের রুখতে বনরক্ষীরা টহল কার্যক্রম জোরদার করলেও পর্যাপ্ত জনবলের অভাব ও অত্যাধুনিক নৌযান স্বল্পতার কারনে প্রতিহত করা সম্ভব হচ্ছে না।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানা যায়, গত মে মাসে কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের আংটিহারা ক্যাম্পের সদস্যরা পশ্চিম সুন্দরবনের ছেড়া নদীর মধ্যে সংঘবদ্ধ একটি শিকারী চক্রকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। এ সময় কোস্টগার্ডের আগমন আঁচ করতে পেরে তারা গহীন বনে পালিয়ে যায়।
গত অক্টোবরে শাকবাড়িয়া ফরেষ্ট ক্যাম্পের বনরক্ষীরা ভোরে শাকবাড়িয়া নদীতে টহলকালে কাটকাটা এলাকা থেকে একটি কাঁকড়া ধরা নৌকা চ্যালেঞ্জ করে হরিণের মাংস উদ্ধার করে। আগষ্ট মাসে হড্ডা টহল ফাঁড়ির বনরক্ষীরা শিবসা নদী থেকে হরিণের মাংস সহ দুইজন জন আটক করে। গত ২৪ ডিসেম্বর ভোররাতে জোড়শিং এলাকার শাকবাড়িয়া নদীর কিনারে বেড়িবাঁধ সংলগ্ন একটি ঘরে ৫/৬ জন চোরা শিকারী চক্র হরিণের মাংস কাটাকুটির সময় কয়রা থানা পুলিশ দুইজনকে হাতেনাতে আটক করে মামলা দেয়।
এ সময় অন্যরা সুকৌশলে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। কিছুদিন আগে সুন্দরবনের ছেড়া খালে স্থানীয় জেলেরা একটি মৃত বাঘ ভেসে থাকতে দেখেছিল বলে গুঞ্জন উঠেছিল। অবশ্য বন বিভাগের পক্ষ থেকে এর সতত্য পাওয়া যায়নি। লোকজনের ধারণা চোরা শিকারীদের ফাঁদে পড়ে এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে।
এ ব্যাপারে খুলনা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক মোঃ শোয়াইব খান বলেন, চোরা শিকারীদের রুখতে বন বিভাগ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
এবিএন/শাহীন/জসিম/এমসি