আটোয়ারী (পঞ্চগড়) , ২৯ ডিসেম্বর, এবিনিউজ : পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে এক নূরানী মাদ্রাসার শিক্ষক কর্তৃক দুই ছাত্র বলাৎকারের ঘঁটনা ঘটেছে। ঘৃণিত এ ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের কালমেঘ জান্নাতবাগ নূরানীয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসায়।
অভিযোগে জানা যায়, গত ১৫ ডিসেম্বর শুক্রবার সন্ধায় কালমেঘ জান্নাতবাগ নূরানীয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসার প্রথম জামাতের ছাত্র (৭) কে ওই মাদ্রাসার শিক্ষক বোদা উপজেলার নুরুল ইসলামের পুত্র শামীম হোসেন বাই সাইকেল যোগে ছাত্রের বাড়িতে পৌছে দেওয়ার পথে বাঁশ ঝাড়ে নিয়ে গিয়ে উপর্যুপরি বলাৎকার করে এবং বিষয়টি কাউকে বললে জানে মেরে ফেলার হুমকী দেয়। অতঃপর শিশুটিকে তাদের বাড়িতে রেখে যায়। পরে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পরলে শিশুটি ঘটনার কথা তার বাবা-মা কে জানায়। ঘটনাটি প্রকাশ হলে একই গ্রামের আরেক শিশু (৯) কে ওই মাদ্রাসার আরেক শিক্ষক চট্রোগ্রাম জেলার সাতকাউনিয়া গ্রামের আলী আহাম্মেদের পুত্র আব্দুর রব কর্তৃক বলাৎকারের ঘটনা প্রকাশ পায়।
উভয় ঘটনায় দুই শিশুর অভিভাবক প্রতিষ্ঠানের প্রাধন বরাবর অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে মাদ্রাসার কমিটি ওই দুই শিক্ষককে গত ২৬ ডিসেম্বর রাতে মাদ্রাসা হতে বের করে দেয়। অভিযুক্ত শিক্ষক শামীমের সাথে মোবাইলে কথা বললে সে তার দোষ স্বীকার করেন কিন্তু আব্দুর বলেন, তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।
এব্যাপারে মাদ্রাসার প্রধান মাউলানা আরাফাত সরকার বলেন, অভিযোগ করেছে সত্য তবে বলাৎকারের ঘটনা ঘটেনি, বলাৎকারের চেষ্টা করা হয়েছে। আমাদের কাছে ওই ছাত্ররা এমনই জবান বন্দি দিয়েছে। কমিটি সহ আমি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নিয়েছি। অভিযুক্তদের মাদ্রাসা হতে বের করে দেওয়া হয়েছে। মাদ্রাসার সেক্রেটারি মো.হাবিুল্ল্যাহ এবং সভাপতি আলহাজ্জ্ব দেলোয়ার হোসেন সাহেবও একই কথা বলেন।
এবিএন/হাসিবুর রহমান/জসিম/নির্ঝর