![আরও দুটি বিমান ঘাঁটি গড়ে তোলা হবে : প্রধানমন্ত্রী](https://archive.abnews24.com/assets/images/news_images/2017/12/31/pm_jessore_117884.jpg)
যশোর, ৩১ ডিসেম্বর, এবিনিউজ :যশোর, ৩১ ডিসেম্বর, এবিনিউজ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ বিমান বাহিনীকে একটি অত্যাধুনিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলায় তার সরকারের দৃঢ় সংকল্প ব্যক্ত করে বলেছেন, বিমান বাহিনীর শক্তি বৃদ্ধিতে শিগগিরই দেশে আরও দুটি বিমান ঘাঁটি গড়ে তোলা হবে।
আজ রবিবার ‘রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ-২০১৭’ উপলক্ষে যশোর বিমানবাহিনীর শিক্ষা সমাপনী কুচকাওয়াজে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রযুক্তিগত ও কৌশলগত দিক থেকে অচিরেই জাতির পিতার কাক্সিক্ষত অত্যাধুনিক, পেশাদার ও চৌকস বিমান বাহিনী হিসেবে দেশে ও বিদেশে প্রতিষ্ঠিত হবে, ইনশাআল্লাহ্।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বরিশাল ও সিলেটে নতুন দুটি বিমান বাহিনী ঘাঁটি স্থাপনের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে। আমার বিশ্বাস, এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী আরও শক্তিশালী হবে এবং এর সক্ষমতা বাড়বে।’
তিনি বলেন, ‘বিমান বাহিনীর একাডেমি থেকে তোমরা যে মৌলিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছো, কর্মজীবনে তার যথাযথ অনুশীলন ও প্রয়োগের জন্য সব সময় সচেষ্ট থাকবে। সততা, একাগ্রতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে তোমাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবে। তোমরা নিজেদের এমনভাবে গড়ে তুলবে যাতে দেশ ও জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে যথাযথ ভুমিকা পালন করতে পারো। প্রিয় মাতৃভূমি রক্ষার গুরুদায়িত্ব পালনে আজ থেকে তোমরা অংশীদার।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে-বিদেশে প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলা, উদ্ধার তৎপরতা, ত্রাণ সামগ্রী বিতরণে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বিমান বাহিনীর তাৎপর্যপূর্ণ অবদান বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে। দেশপ্রেমের মঞ্চে উজ্জীবিত হয়ে এবং পবিত্র সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে বাংলার আকাশ মুক্ত রাখার দৃঢ় অঙ্গীকার বাস্তবায়নে তোমরা সংকল্পবদ্ধ থাকবে। ক্রমবর্ধমান প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর দক্ষতা অর্জনে তোমরা সর্বদা সচেষ্ট থাকবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকের প্রশিক্ষণ সমাপণ কুচকাওয়াজ সফলভাবে সম্পন্ন হলো। সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন। কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের এবং অভিভাবকদের প্রতি আন্তরিক অভিনন্দন রইলো।’
তিনি বলেন, ‘একাডেমির প্রশিক্ষণ আধুনিকায়নে ও ভবিষ্যৎ চাহিদা মেটানোর জন্য নতুন স্থাপনা প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। এ সব উন্নয়ন কাজ সফল হলে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী একাডেমি শুধু দেশেই নয় আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও সুনাম বয়ে আনতে সক্ষম হবে।’
সম্প্রতি বিমান বাহিনীতে কে-এইট ডব্লিউ জেট ট্রেনার, ওয়াই এ কে-১৩০ প্রশিক্ষণ বিমান ও এল-৪১০ পরিবহন প্রশিক্ষণ বিমান সংযোজিত হওয়ার কথা মনে করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিমান বাহিনী একাডেমি থেকে যে মৌলিক প্রশিক্ষণ তোমরা গ্রহণ করেছ, কর্মজীবনে তার যথাযথ অনুশীলন ও প্রয়োগের জন্য সব সময় সচেষ্ট থাকবে।’
ক্রমবর্ধমান প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর দক্ষতা অর্জনে বিমান বাহিনীর এ অফিসাররা সর্বদা সচেষ্ট থাকবে বলেও প্রধানমন্ত্রী আশাপ্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার প্রতিরক্ষা নীতির আলোকে আমরা সশস্ত্র বাহিনীর জন্য দীর্ঘমেয়াদি ‘ফোর্সেস গোল-২০৩০’ প্রণয়ন করি। এ গোলের আলোকে আমরা ইতোমধ্যে বিমান বাহিনীতে সংযোজন করেছি বিভিন্ন ধরনের যুদ্ধ বিমান, পরিবহন বিমান, হেলিকপ্টার, ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র এবং উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন আকাশ প্রতিরক্ষা রাডার।
এর আগে নবীন অফিসারদের কুচকাওয়াজ পরিদর্শন এবং পদক, সনদপত্র ও ফ্লাইং ব্যাজ বিতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
রবিবার বেলা ১১টায় প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিক্প্টারটি যশোরের মতিউর রহমান বিমান ঘাঁটিতে অবতরণ করে। প্রধানমন্ত্রী বিকাল ৩টায় যশোর ঈদগাহ ময়দানে দলীয় জনসভায় বক্তব্য দেবেন।
জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যশোর মেডিকেল কলেজের একাডেমিক ভবন, কপোতাক্ষ নদ খনন উন্নয়ন কাজসহ দেড় ডজন উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করবেন। একই সঙ্গে যশোরের মৃত ভৈরব নদ সংস্কার, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ রাসেল জিমনেসিয়াম ভবন, টিএসসিসহ ডজন খানেক উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।
এবিএন/সাদিক/জসিম/এসএ